রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে সৌখিন মাছ শিকারীরা আগামীতে প্রতিটি সংসদ নির্বাচন হবে তত্ত্ববাধায়ক সরকারের অধীনে-আমান উল্লাহ আমান লালমনিরহাটে সার নিয়ে কৃষকের হাহাকার কলমাকান্দায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধ হলে দেশীয় মাছের সরবরাহ বাড়বে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা সালথায় মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ভীড়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি শিল্প মঠবাড়িয়ায় জেলেপল্লীতে এক টাকায় এক বেলা আহার তারেক রহমান বলেছেন, তৃতীয় প্রতিবাদ অবশ্যই আমার কানে পৌছাবে-ডা: মাজহার শহীদ আবু সাইদের মতো আদর্শবান সাহসী ছাত্র তৈরি করতে হবে-এম.জহির উদ্দিন স্বপন লালমোহনে উদ্বোধন হলো ‘গজারিয়া ইসলামিক মডেল একাডেমি’

মুন্সীগঞ্জের মোলাকান্দির চরডুমুরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণ

হুমায়ূন কবির মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামের আতাউর রহমান মোল্লা (৫৪) ও তার স্বাজনদের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও জোর করে ভবন নির্মান করছে একটি প্রভাবশালী মহল । এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানাকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করার পরও এবং কয়েকবার অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রভাবশালী মহলটি তাদের নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে। বাদী আতাউর রহমানকে উপরন্ত প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় তার স্বপরিবার ও স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। পরিবার ও স্বজনদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১২ই মার্চ রবিবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। ডায়রি নং-৬৪৬। নালিশি সম্পত্তিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদালতের নির্দেশ প্রদান সত্তেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উদাসিনতা ও অবহেলার কারনে প্রভাবশালী মহলটি জোর পূর্বক ভবন নির্মান অব্যাহত রাখায় বাদী পড়ছে মহাবিপাকে। বাদী আতাউর রহমান জানান ওয়ারিশ ক্রয়সূত্রে সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া মৌজাস্থিত সি. এস ১১৩ আর. এস ২৭০ ক্ষতিয়ান ভূক্ত যার দাগ ক্ষতিয়ান নং সি. এস. ৩৪৫ এবং ৩৫১ আর. এস. ৫২২, ৫২৩, ৫২৪ সূত্রে তার মাতা আক্তার বানু খালা মমেলা খাতুন ও হাজেরা বেগম ও ওয়ারিশ ও রের্কডিও সূত্রে ২৭.৫৬ শতাংশ জমির মালিক হন। দুই খালা যথাক্রমে হাজেরা বেগম ও মমেলা খাতুন এবং তার ওয়ারিশগণ এবং আমার মাতা আক্তার বানু উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু প্রভাবশালী মহল যথাক্রমে খোরশেদ মাদবর(৬৮), আবুল হোসেন মাদবর(৬৫) ও আখের মাদবর(৫৮) পিতা সোবহান মাদবর, সাং চরডুমুরিয়া, ইউনিয়নঃ মোল্লাকান্দি, থানা ও জেলা: মুন্সীগঞ্জ জোরপূর্বক দখল করে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে উক্ত জমি দখল করে ভবন নির্মান শুরু করে। বিবাদীগণের পাশাপাশি আমার মা ও খালাদের পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে মালিকাধীন সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত সম্পত্তি নিয়া তাদের সাথে আমাদের মন মালিন্য চলে আসছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি নিয়ে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা রয়েছে যার নম্বর ২০৩/২০২২, ধারা ১৪৫ ফৌজধারী কাযবিধি চলমান রয়েছে এবং উক্ত সম্পত্তি হতে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তিতে কোন প্রকার নির্মান কাজ না করার আদেশ প্রদান করেন মাননীয় আদালত। তিনি আরো জানান নালিশি সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী মহলটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে নির্মানধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নিলে আমি ও আমার খালাতো ভাইয়েরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা আমাকে ও আমার খালাতো ভাইদের মারধর করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করি। তিনি আরো বলেন বিজ্ঞ আদালত মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নালিশি দাগের ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ প্রদানসহ নালিশি ভূমি সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা সত্তেও পুলিশ তরিগরি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে ও প্রভাবশালী মহলটিকে ভবন নির্মানে তেমন উল্লেখযোগ্য বাধা প্রদান না করায় এবং আইন অমান্য করার কারনে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ার কারনে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুজ্জামান আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে কিছুই না বলে আমার প্রতি অবজ্ঞা করেন। প্রভাবশালী মহলটির ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাদী আতাউর রহমান মোল্লা এলাকায় যেতে পারছেন না বলে জানান। বিবাদী আখের মাদবর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কোর্ট মামলা মোকাদ্দেমা আছে জানি এজন্য আমরা বাড়ির কাজ বন্ধ রাখছি। আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিনি। যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও কাজ বন্ধ রাখেন তবে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ কিভাবে হলো এ প্রশ্নের উত্তর তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আদালত থেকে কোন কাজ বন্ধের এমন কোন নির্দেশনা আছে কিনা না আমি জানি না। বাদী যদি কোন কাগজ নিয়ে আসে তাহলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমি কাজ বন্ধ রাখব। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে দুইবার সদর থানা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পাঠিয়ে পৃথক দুটি প্রতিবেদন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর পাঠানো হয় এবং আদালতে দুইবার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। যাহার একটি স্মরক নম্বর জেঃপ্রঃমুঃ/অঃজেঃম্যাঃআঃ/২২-৫৩০(মং) তারিখ ১৪-০৭-২০২২ইং। অপরটির প্রতিবেদনের স্মরক নং হল জেঃপ্রঃমুঃ/অঃজেঃম্যাঃআঃ/২২-৭৪৭(মং)র তারিখ ২৯-০৯-২০২২ এবং যাহার উভয়ই পিটিশন কেইস নম্বর ২০৩/২০২২ ধারা ১৪৫ ফৌঃ কাঃ বিঃ। অথচ তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ০৫ ওয়ার্ডের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সালামত মাদবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন করছে কিনা এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি উভয় পক্ষকে বলেছি যে আপনারা একটি সমাধানের ভিতরে আসেন উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি বিরাজ থাকুক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com