কেউ যদি সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করেন, তিনি আর বেকার নন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এমনকি যেসব মায়েরা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন, তারাও বেকার নন বলেও দাবি করেন তিনি। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর সম্পূরক প্রশ্নে সাংবাদিকরা জানতে চান- এক ঘণ্টা কাজ করে কি জীবন চলবে? জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘জীবনের প্রশ্ন তো বিশাল ব্যাপার।’ গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২’র প্রভিশনাল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবিএস। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়। এম এ মান্নান বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সময় কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যের হার কমেছে। সরকার বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে কর্মসংস্থান বেড়েছে। করোনার সময় ২০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য কমে ১৬ শতাংশ হয়েছে। সরকার বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। আপনারা গভীরে গেলেই বুঝবেন দেশে দারিদ্র্য কমেছে।’ আলোচনা সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, করোনার সময় কর্মসংস্থান কমেনি, বরং বেড়েছে। শহর ছেড়ে অনেকে গ্রামে গিয়ে মাছ, সবজি চাষ করেছেন। অনেকে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। লেবার (শ্রমিক) সেভাবে কমেনি। এসময় নারীর কর্মসংস্থানও বেড়েছে।’ বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এখন বেকার জনগোষ্ঠীর হার কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। আগে যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং বেকার নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার। বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদ- অনুযায়ী। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তি বেকার হিসেবে ধরা হয়।