গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যু পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে সম্মান জানানো হবে। এরপর বেলা আড়াউটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা। পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জুমা তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পরিবর্তী সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা। লাশ দাফন হবে না মরণোত্তর দেহদান করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহদান করেছেন শোনা গেলেও কোনও আইনি কাগজপত্র নেই। এ জন্য জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে আজ তার পরিবারের সদস্যরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে পরিবারেরর সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা ইলতাফ আজিজ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক আফিস নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবুল হোসেন প্রমুখ।