সরকারের লোকজনই নদী দখলের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশ ও নদী’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এই অভিযোগ করেন। বিএনপি আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর বিক্রম মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমদ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন অধ্যাপক এ কে এনামুল হক পিএইচডি, এম জাকির হোসেন খান, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ড শেখ ফরিদুল ইসলাম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম হাসনা জসীমউদ্দীন মওদুদ।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী দখলের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তুরাগ নদীর তীরে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে নদী ভরাট করে। এর সাথে সরকারের লোকজন জড়িত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’ নদী নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার উন্নয়নের ঢাকঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নদীকে পরিশুদ্ধ করার, সঠিকভাবে প্রবাহিত করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।’ বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘জনগণের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য সরকারের কোনো লক্ষ্য নেই। জনগণের বেঁচে থাকার পথকে সুগম করার জন্য কোনো লক্ষ্য নেই। জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। লক্ষ্য একটাই, যে করেই হোক, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে।’ বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এটা অনেক বড় সংগ্রাম, বড় লড়াই। এই সংগ্রামে আমাদের জিততে হবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরত আসতেই হবে। সেটা হলেই আমরা আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষার উদ্যোগ নিতে পারব।’