জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে দেশ মাতৃকার শুভ কামনায় ও বিশ্ব শান্তিকল্পে ৩২ প্রহর ব্যাপী মাহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান, পদাবলী কীর্তন ও শ্রী শ্রীমন্মহাপ্রভূর ভোগ উৎসব মঙ্গলবার সন্ধায় গীতা পাঠান্তে মঙ্গলঘট স্থাপন ও শুভ অধিবাসের মধ্যদিয়ে কেন্দ্রিয় বারোয়ারী মন্দির অঙ্গনে শুরু হয়েছে। ৪ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ২ দিন মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও ২ দিন অনুষ্ঠিত হবে পদাবলী কীর্তন।
এই উৎসবে তারকব্রহ্ম নাম পরিবেশন করবে বরিশাল জেলার গোবিন্দ সম্প্রদায়, খুলনার আদি মা যশোদা সম্প্রদায়, সিরাজঞ্জের রূপ নারায়ণ সেবা সংঘ, পঞ্চগড়ের ব্রজ বালক সম্প্রদায়, দিনাজপুরের জয় গোপাল সম্প্রদায় ও জয়পুরহাটের পাগল সম্প্রদায়।অপরদিকে পদাবলী কীর্তন পরিবেশন করবে ভারতের কলিকাতার শ্রী সৌমেন দাস গোস্বামী, উত্তর ২৪ পরগণার শ্রীমতি অনুরাধা মল্লিক, বগুড়ার শ্রীমতি প্রতিমা দেবী (টপি) ও জয়পুরহাট জেলার রতন চন্দ্র মালী। সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এই উপজেলায় সবর্ত্রই এখন সাজ সাজ রব। এ উৎসবকে ঘিরে পরিপাটিভাবে সাজানো হয়েছে বারোয়ারী মন্দির ও তার চারিপাশ।প্রতিবছর এ উৎসবে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের পদচারণায় মুখরিত হয় এই মন্দির। আগামী ১৪ মে রবিবার মহানাম কীর্তন নগর পরিক্রমা, কুঞ্জভঙ্গ, মধ্যাহ্নে শ্রী শ্রীমন্মহাপ্রভূর ভোগ মাহোৎসব অন্তে দধি মঙ্গল ও মহন্ত বিদায়ের মধ্যেদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচে বৃহৎ এই মাহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান পাঁচবিবির বারোয়ারী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবছর। এবছরও আমরা এই মাহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এ উৎসবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আপনাদের পদধুলি আমাদের প্রেরণা বলে জানান, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সুনীল রায়, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরমেশ^র মাহাতো ও হরিবাসর উদযাপন কমিটির সভাপতি ভরত প্রসাদ গোয়ালা। এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দির একটি ঐতিহ্যবাহী বড় মন্দির। যা পাঁচবিবি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। এবার নতুন আঙ্গিকে বৃহত্তর পরিসরে দুই বাংলার কীর্তন দল নিয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা বিস্তৃত আঙ্গিকে জেলা থেকে জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। আমি এ অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।