গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়ছে ডায়রিয়া ও মাম্প্?স রোগীর সংখ্যা। এতে অতিষ্ঠ জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুটছে বাশঁ ঝাড় কিংবা গাছের ছায়ায়। এই তিব্র গরমে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে মহা-বিপদে। সূর্য্যের গতি কেড়ে নিচ্ছে তাদের খাবার। এমনকি সূর্য্যের তীব্রতায় যানবাহনে বসে দিন কাটাচ্ছে আটোবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালকরা। উপজেলার ইউনিয়ন গুলো ঘুরে দেখা যায়, গরম সহ্য করতে না পেরে পার্শ্ববর্তী ক্যানেলে দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করছে অনেকে এবং গ্রামের মানুষজন বাশঁ ঝাড়ের নিচে টংয়ে বসে অলস সময় পাড় করছেন। অনেক কে আবার গাছতলায় ছায়ায় বসে ও ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। শুধু মানুষ বা প্রাণীকুল নয়, গরমের প্রভাব পড়ছে গাছ-গাছালিতেও। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকজন দিনমজুর এর সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘অতিরিক্ত গরমে কাজ হাতে উঠছে না। সকালে কাজে বের হয়েছি কিন্তু দুপুরের কড়া রোদ আর সহ্য হচ্ছে না। তাই কাজের ফাঁকে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছি।’ জলঢাকা শহরের আটোবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোদের এতো তাপ সকাল ৯টার পর আর গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না। সারাদিন গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয়। শণিবার দুপুরে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখায় যায়, গত এক সপ্তাহে ক্রমান্বয়ে জ্বর, ডায়রিয়া ও মাম্প্?স রোগের রোগি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত প্রায় ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসান মোঃ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, গত এক সপ্তাহে রোগির সংখ্যা বেড়েছে। এই গরমে ডায়রিয়া ও মাম্প্?স রোগের রোগির সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। তবে ভয়ের কোন কারন নাই গরম কমে গেলেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।