জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন। এ মৌসুমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে সর্বত্রই। বিশেষ করে এবার ঝড়-ঝাপটা তেমন না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে। তবে একই সঙ্গে ধান পাকতে শুরু করায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আবার শিলা-ঝড়বৃষ্টির আশংকায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে বেশ চিন্তিত কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলার পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়ানে ১৯ হাজার ৯ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৪শ ২০ মেট্টিক টন। পূর্ব কড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ মন্ডল জানান, আগের তুলনায় ধানের উৎপাদন খরচ কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর পত্তন নিয়ে ধান চাষ করলে খরচ আরো বেশি। এবার ধানের ফলন বেশ ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ২৫-২৬ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে। বাজিতপুর গ্রামের কৃষক মুরাদ হোসেন বলেন, নতুন ধানের বাজার এখন ১১ শত টাকা। এর উপর থাকলে আরো ভালো হতো। কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এখন প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে হাজার ৫০ টাকা। আর ১ বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, ইরি- বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া ধান চাষের অনুকুলে থাকায় মাঠে তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা ধানের ভালো ফলন পাবে। এছাড়া আমরা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।