‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। দেশে আওয়াীলীগের উন্নয়ন হয়েছে। হাসিনার দলের লোকজনের উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের কোন উন্নয়ন হয়নি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের এখন নাভিশ্বাশ অবস্থা। বেকারত্ব কর্মহীন মানুষ উপহার দিয়েছে এই অনির্বাচিত সরকার।’ শুক্রবার বিকালে কুড়িগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার এ.এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি আরো বলেন,‘শেখ হাসিনা বলেছেন যারা সেংশন দিবে তাদের কাছে কিছু কেনা হবে না। সেংশন কেন দিতেছে তা জাতিকে স্পষ্ট করে জানান। আওয়ামীলীগ জনগণের দল নয়, আওয়ামীলীগ ২০০৮ সালে সামরিক সরকার ও ভারতের সাথে আতাত করে ও পরবর্তীতে বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণ আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করে না। মিথ্যা কথা বলে আওয়ামীলীগের মন্ত্রীরা। তাদের জায়গা হবে হাবিয়া দোজখে। যারা দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি তারা দেশ শাসন করবে। আওয়ামীলীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আওয়ামীলীগ টিকে আছে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে। শান্তিপুর্ন আন্দোলনের মাধ্যমে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এই পতন ঘন্টা বেজে উঠবে বলে উল্লেখ করেন।’ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামের সভাপতিত্বে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এনআর প্লাজা মার্কেট প্রাঙ্গনে জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতে তৈরী করা হয়েছিল শান্তি কমিটি। আজ আওয়ামীলীগ একই নামের সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর বর্বরভাবে হামলা করছে। কুড়িগ্রামে সমাবেশে অংশ নিতে আসার সময় জজকোর্ট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় উলিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজ্জাকুল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রবিউল ইসলাম, কর্মী হান্নানসহ ১৫/২০জন আহত হয়েছে। এই সরকার জালিম সরকার। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক জিয়াকে দেশে না আনা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। দেশে এক দলীয় শাসন করতে দেয়া হবে না।