মঠবাড়িয়া থানার সদ্য বদলি হওয়া (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল এর বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা নিতে আসা এক কলেজ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভা কক্ষে ভূক্তভুগি ওই কলেজ ছাত্রী এসব অভিযোগ এনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবী করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ভূক্তভুগী ওই তরুনী সালমা আক্তার পাশ^বর্তী কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ও মঠবাড়িয়া উপজেলার দেবত্র গ্রামের রত্তন তালুকদারের মেয়ে। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তুভুগী কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, তার মাদ্রাসা পড়–য়া ছোট ভাই তাওহিদকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পূর্ব পরিচিত আদম ব্যবসায়ী উপজেলার তাফালবাড়ীয়া গ্রামের আলকাজ উদ্দিন ও তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিনকে দু’দফায় সাত লক্ষ সতের হাজার টাকা পরিশোধ করেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তার ভাইকে বিদেশে পাঠাতে টালবাহানা করে কাল ক্ষেপন করে। এ বিষয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ২৫ মে’২০২২ তারিখ মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের দু’দিন পর তৎকালীন থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল থানার নারী ও শিশু ডেস্ক বভনের কক্ষে ডেকে নিয়ে ওই টাকা বিবাদীর কাছ থেকে আদায়ের কথা বলে কুপ্রস্তাব দিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। এ প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল কালক্ষেপন করে প্রতিপক্ষ নাসিরকে বিদেশে যেতে সহায়তা করেন। এছাড়া সাংবাদিক সোহাগ সরদারের দ্বারা স্থানীয় অনলাইন পোট্রাল ও সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ ছাত্রীর ছবি দিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও প্রচার করে ভাইরাল করে। এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী সালমা আক্তার মঠবাড়িয়া থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরীসহ বরিশাল রেঞ্চের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাতক্ষিরার শ্যামনগর থানার কর্মরত ওসি (মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে জানান এক বছর পরে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত অব্যহত আছে।