দুই বছর আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সাদ্দাম হোসেনের(৩৩) দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার বড় বোন জেসমিন(৪৫) একটি কিডনি ভাইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু টাকার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে কিডনি রোগী সাদ্দাম হোসেন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের জন সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। তাদের মধ্যে থেকে ১০ লাখ মানুষ ১ টাকা করে দিয়ে সহযোগিতা করলে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যয় হয়ে যাবে। বেঁচে যাবে আমার জীবন। সাদ্দাম হোসেন উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘী সগুনা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। বর্তমানে সাদ্দাম হোসেন ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ঢাকার গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে সপ্তাহে দুদিন কিডনি ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করা গেলে ভালো হতো। কিন্তু টাকার অভাবে সঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেননা। সাদ্দাম হোসেনের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, চিকিৎসা করে অতি আদরের একমাত্র ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারিনি। এরই মধ্যে চিকিৎসার ব্যয় বহন করে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। বসত বাড়ির জায়গাটুকোও বিক্রি করে দিয়েছেন। চিকিৎসক এক মাসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে। টাকার জোগার করতে পারছেননা। দেশ ও প্রবাসের মানুষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা না করলে ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা। সাদ্দাম হোসেনের বোন জেসমিন খাতুন বলেন, ডাক্তারি পরিক্ষায় আমার ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনের সাথে আমার কিডনি ম্যাচিং হয়েছে। ফলে নিজের একটি কিডনি ভাইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন ও সুচিকিৎসা জন্য ১০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে। তিনি সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন আদরের ছোট ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে। আমাদেরকে টাকা পাঠানোর বিকাশ নাম্বার ০১৭৩৪৩১০১৯৪। এছাড়াও জনতা ব্যাংক তাড়াশ শাখার ০১০০২২৭৪৩৮২৩৬ নাম্বার হিসাবেও সাহায্য পাঠাতে পারেন। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সাদ্দাম হোসেনের কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য আগে কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন।