ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ৩০ বছর বয়সী মালতী রানী রায় রোগ থেকে মুক্তির জন্য সহযোগিতা চান। দুই সন্তানের জননী মালতী রানী রায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের অতিদরিদ্র চা বিক্রেতা দিনেশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। বাবা এবং স্বামীর সংসার অতিদরিদ্র হওয়ায় মালতী রানী রায় বাসাবাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছেন। মালতী রানী রায় রোগ মুক্তি লাভ করে সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান। ১২ বছর ও চার বছরের দুই ছেলে রয়েছে মালতী রানী রায়ের। বাসা-বাড়িতে কাজ করে মালতী তার নিজের সংসারে সহযোগিতা করতেন। ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মালতী রানী রায় কাজ করতে পারছেন না। ভয়াবহ এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা খরচ মিলাতে পারছে না মালতী রানী রায়ের স্বামী। যার কারণে তিনি বাঁচার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবান লোকদের সহযোগিতা চান। মালতী রানী রায় জানান, দীর্ঘ এক বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। মালতী রানী রায় বাসাবাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কাজ করতে পারছেন না। গত মাসে সমাজসেবা অধিদপ্তর এর চিকিৎসা সেবা ফান্ড থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকায় কোনভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করছেন। ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তার অপারেশন ও চিকিৎসার জন্য আরও টাকার প্রয়োজন। তিনি জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ স্বপন কুমার নাথ তার চিকিৎসা করছেন। বাড়ির গৃহপালিত হাঁস-মুরগি, ছাগল ও গাছ বিক্রি করে ক্যান্সার প্রতিরোধক ১০টি থেরাপি সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক বলেছেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত স্থানটি দ্রুত অপারেশন করতে হবে, তা নাহলে নতুন করে আবার ক্যান্সার ছড়িয়ে পরতে পারে। সেই সাথে বলেছেন এ অপারেশন বাংলাদেশ হবে না ভারতে করতে হবে। ব্রেস্ট অপারেশন ও পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মালতী রানী রায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। যদি কোন বিত্তবান হতদরিদ্র মালতী রানী রায়কে সাহায্য করেন, তাহলে তার অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। রোগীর সঞ্চয়ী ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ০১০২৬৭২৮ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ডিমলা শাখা, নীলফামারী এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৮৩২৩৪১১৩ দেওয়া হলো।