বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

বরিশালে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন চা বিক্রেতা ওবায়েদ

বরিশাল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

একবেলা দোকান না চালালে জোটে না সংসার খরচ। তারপরও তিনি মনে করেন শুধু নিজে ভালো থাকলেই চলবে না চারপাশে যারা বাস করেন তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। সেই তাগিদ থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন চাওয়ালা ওবায়েদ। সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বজায় রেখে চলেন ৩৯ বছরের এই যুবক। এলাকা জুড়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে গরিবের প্রার্থী ওবায়েদ চৌধুরীর নাম। বরিশাল প্রেসক্লাবের ঠিক বিপরীতে ৮ বছর ধরে চায়ের দোকান চালিয়ে আসছেন বিধায় সকলের পরিচিত তিনি। নির্বাচন শুরুর আগে খুব ভোর থেকে গভীর রাত অব্দি চায়ের চুলা জ্বলেছে তার। যাচাই-বাছাইতে টিকে গিয়ে চূড়ান্তভাবে রেডিও প্রতীক পাওয়ার পর তার চায়ের দোকানটিকেই নির্বাচনী ক্যাম্প করে ফেলেছেন তিনি। একবেলা চা বিক্রি করেন আরেক বেলা কর্মী নিয়ে ভোট চাইতে যান ওয়ার্ডের ভোটার কাছে। ওবায়েদ চৌধুরী বলেন, চায়ের দোকান চালাতে গিয়ে গরিব-মেহনতি মানুষের সঙ্গে সুসর্ম্পক গড়ে উঠেছে, আমি পরিচিতি লাভ করেছি। তাই এলাকার গরিব মানুষের সিদ্ধান্তে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছি। আমি চায়ের দোকানি এজন্য হয়তো অনেকে হেয় করতে পারেন। কিন্তু আমিই প্রথম না আমার আগেও অনেক চায়ের দোকানদার, মুচি তারা মানুষের খেদমত করেছেন প্রেসিডেন্টও হয়েছেন। এই কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, আমি চায়ের দোকানে বসেতো হালাল টাকা আয় করি। আমার পাঁচ তলার বিল্ডিং নাই, দালান নাই। এক কথায় আমি গাছ তলায় থাকি। কিন্তু আমার সামর্থ্য অনুসারে জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আমি প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু ওই বছরের নির্বাচন নিরপেক্ষ না হওয়ায় আমি কাঙ্খিত ভোট পাইনি। এবার যেহেতু ইভিএমে ভোট হবে আশা করছি সুষ্ঠু হবে। কেন একজন চায়ের দোকানিকে ভোট দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ার্ডবাসী পরিবর্তন চাইছে। ভোটাররা তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমি নিজেও একজন তরুণ। এজন্য আমার বিশ্বাস ভোটাররা আমাকে বেছে নেবেন। আর যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে ওয়ার্ড থেকে মাদক সমস্যা, বেকার সমস্যা ও বখাটেদের উৎখাত করব। ওবায়েদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবকারী রিপন সিকদার বলেন, নির্বাচন এলে বড়লোকের পিছনে ছোটে মানুষ। গরিবের কথা কেউ শোনে না। তাই যারা গরিব আছি তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ওবায়েদ চৌধুরীকে কাউন্সিলর প্রার্থী করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ১৭নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এদের মধ্যে ওবায়েদ চৌধুরীও রয়েছেন। তিনি আশ্বস্থ করেন ১২ জুন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এই ওয়ার্ডের প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন চিত্র সাংবাদিক সালাউদ্দিন সিকদার, এইচএসসি পাস আকতারউজ্জামান গাজী হিরু, ব্যববসা শিক্ষায় স্নাতোকত্তর তামিম হাসান, এইচএসসি পাস নুরুল ইসলাম সম্রাট, ব্যবসা শিক্ষায় স্নাতোকত্তোর আদনান হোসেনের সঙ্গে প্রদ্বিন্ধীতায় টিকে আছেন ৮ম শ্রেণি পাস ওবায়েদ চৌধুরী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com