জেলার দেবিদ্বারের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ যেন এখন কাঠালের রাজ্যে। ডানে কাঁঠাল, বামে কাঁঠাল, ওপরেও কাঁঠাল। চারদিকে কাঁঠালে ছড়াছড়ি।
বেড়িবাঁধ ঘেঁষা গ্রাম সদর উপজেলার পালপাড়া, বুড়িচংয়ের ষোলনল, শিমাইল খাড়া, বালিখাড়া, ধামতী, রামনগর, হুরহুড়া, কামারখাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশের ঢালু জায়গায় শত-শত কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছেই ঝুলছে কাঁঠাল। কোনো-কোনো গাছে ৫০টি, কোনোটিতে ৩০টির আবার কোনো গাছে ধরে রয়েছে ১০ বা তার কমবেশি কাঁঠাল।
দেখা যায়, গোমতী নদীর বেড়িবাঁধজুড়ে সারি-সারি কাঁঠাল গাছ। সেই গাছে থরে-থরে ঝুলছে কাঁঠাল। গালা ও খাজা দুইজাতের কাঁঠালই পাওয়া যায় এখানে। তবে শুধু কাঁঠালই নয়, গ্রীষ্মে তাল, আম, পেঁপেসহ নানা ফলের সমাহার ঘটেছে এ এলাকায়।
জানা যায়, কাঁঠালসহ মৌসুমি বিভিন্ন ফল এখন নগরীর বাজারসমূহে বিক্রি হচ্ছে। খেতে সুস্বাদু ও টাটকা এসব ফলের চাহিদা বাজারে রয়েছে প্রচুর। শিমাইলখাড়া গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম বাসসকে বলেন, আমার ১৯টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই ও কিছু মানুষকে বিলিয়ে দেই।
ষোলনল গ্রামের মনিরুজ্জামান বাসসকে বলেন, এবার কাঁঠাল বেশি ধরলেও তেমন একটা বড় হয়নি। বৃষ্টিপাত কম হলে এমন সমস্যা হয়। তবে ফলন বেশি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, কুমিল্লার সব উপজেলাতেই কাঁঠাল আবাদ হয়। এর মধ্যে বেশি আবাদ হয় লালমাই পাহাড় ও গোমতীর বেড়িবাঁধে। কুমিল্লার কাঁঠাল দেরিতে পাকে, তাই প্রথমদিকে কিছু কাঁঠাল বাইরের জেলার আসে। কুমিল্লায় যে পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদিত হয়, তা জেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম।