শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

সিইসির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ ফয়জুল করিমের

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যকে দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করে তার কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মুফতি ফয়জুল করিমের পক্ষে সিইসিকে এ নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত। নোটিশে বলা হয়, গত ১২ই জুন বরিশাল নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া মেইন রোডের এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে হাত পাখার ভোটার এবং মানিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার বিষয়ে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সেখানকার দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং নৌকার সমর্থক ও কর্মীরা হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ও তাঁর কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে অবহিত করলে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। দ্বিতীয়বার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী বরিশাল নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে ২৭ নং কেন্দ্র “সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়” ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন যে, নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা ভোট কক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলেছে যে, “নৌকায় ভোট দিলে দাও না দিলে চলে যাও” উক্ত বিষয়টি হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার কে অবগত করান। এর পরপরই নৌকা প্রতীকের প্রায় ৩০/৪০ জন উচ্ছৃঙ্খল কর্মী ফয়জুল করীম ও তাঁর সঙ্গীয় কর্মীদের ওপর হামলা করে। প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার পরেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দ্বিতীয়বার হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা করে মাথায়, নাক ও ঠোটে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকলেই নির্বাচন কমিশনের অধীন।
অথচ, আপনি নোটিশ গ্রহীতা উল্লিখিত ঘটনার বিষয় কোনরূপ ব্যবস্থা অদ্যাবদি গ্রহণ করেননি। এ ব্যর্থতার জন্য আপনি-ই দায়ী। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আপনি আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।
অতঃপর ঐ দিন রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওস্থ “বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভবন” এ সাংবাদিকগণ উপরিউক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আপনি নোটিশ গ্রহীতা ভোট কেন্দ্রের এই অযাচিত এবং বেআইনি হস্তক্ষেপের বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ ভোট কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে ওই ঘটনার এর সত্যতা পাওয়া যাবে। আপনি নোটিশ গ্রহীতা হাতপাখার মেয়রপ্রার্থীর গুরুতর জখমের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাত পাখার মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা ও রক্তাক্ত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, “এটা আপেক্ষিক। রক্তাক্ত সবকিছু আপেক্ষিক ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা দেখেছি- না? উনি কতটা রক্তাক্ত হয়েছেন। উনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি- উনাকে কেউ পেছন থেকে ঘুষি মেরেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com