মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশেষ সিএসআর তহবিলের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা  ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২৯৭ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কার বিষয়ে অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানেরা বৃটেনে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আপসানা হত্যা-গণহত্যাসহ গুমের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে ৮০টিরও বেশি অভিযোগ ৪ মহানগর ও ৬ জেলায় কমিটি অনুমোদন বিএনপির মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন?

সম্মানহানির ভয়ে অনেকে উপাচার্য হতে চান না: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে এগিয়ে নিতে উপাচার্যদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, নিয়োগ, ঠিকাদারিসহ বহুমুখী অযাচিত চাপে থাকেন উপাচার্যরা। অনেক সময় সহকর্মীরাও তাদের অসহযোগিতা করেন। ফলে উপাচার্যদের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। এতে করে সম্মানহানির ভয়ে অনেকেই উপাচার্য হতে আগ্রহী হন না। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই অনভিপ্রেত চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান। গতকাল শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানভেদে আর্থিক প্রয়োজনীয়তা ও খরচের ধরন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদ- সব প্রতিষ্ঠানে একই হওয়া উচিত। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান আর্থিক অনুশাসন মানা হলে, অর্থ সংক্রান্ত সব বিতর্ক নিরসন সম্ভব হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা সরকারের নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা নিয়ে সরকার পাশে আছে।
নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সংকটের বিষয় তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষাপ্রদান নিশ্চিত করতে ইউজিসি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি পুল গঠন করতে পারে। তারা সরাসরি বা ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করতে পারেন। ফলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান গ্রহণের সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে শিক্ষার মান কমবে বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে তা যথার্থ নয়। শুরুতে কিছু সমস্যা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় ঠিকই শিক্ষার মান অর্জিত হয়। উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যার মেধা ও ইচ্ছা আছে এবং প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পাস করবে তার জন্য উচ্চশিক্ষা অধিকার।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্লান প্রণয়ন, ঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, রিসার্চ ও ইনোভেশনে গুরুত্বারোপ, দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি, একক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা, এনডাউনমেন্ট ফান্ড গঠন, রিসার্চ রেপোজিটরি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম যেন না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যয় নিয়ে অনেক নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যা প্রত্যাশিত নয়। শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষায় প্রতি বছর প্রায় ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে বাজেট ৪ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি বরাদ্দ দিতে হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে কোনো গবেষকের নিবন্ধ প্রকাশে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে ইউজিসি। আগামী বছর ১৫-২০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, উচ্চশিক্ষা বিশেষ ধরনের সুযোগ। উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নয়, এটা অধিকার নয়। কিন্তু, উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করায় এর গুণগতমান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চশিক্ষা হাতে কলমে না হলে এটি টেকসই ও মানসম্পন্ন হবে না। তিনি আরও বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আর্থিকক্ষেত্রে অভিন্ন আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে উপাচার্যরা অসুবিধার সম্মুখীন হন। বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি দপ্তরের কর্মকৌশল ও ব্যবস্থাপনা ভিন্ন। আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাস্তবতা মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে রিসোর্স শেয়ারিং নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তিনি অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে কার্যকর করার মাধ্যমে একটি এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠনের ওপর জোর দেন। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষায় সক্ষমতা ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি উপাচার্যদের চাপমুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে মানসম্মত করা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া প্লাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করছে। অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের গুরুত্ব অনেক। কারণ, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট একটি স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকার করা হয়। এজন্য লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com