পাহাড়ী জেলা রাঙ্গামাটিতে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। জেলা উপজেলার প্রতিটি হাটে উঠেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু, মহিষ, পাহাড়ী গয়াল, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন পশু।
জেলা শহরের পৌরসভা ট্রাক টার্মিনালে এবার কোরবানী উপলক্ষে বসেছে একটি মাত্র কোরবানী পশুর হাট। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুণ কুমার দত্ত বাসসকে জানান, এবার কোরবানীতে জেলা-উপজেলাসহ সব মিলিয়ে মোট ১৯টি কোরবানী পশুর হাট বসেছে। তিনি বাসসকে জানান, এবার কোরবানীতে পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৪০টি। চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রস্তুত রয়েছে ৩৯ হাজার ২৯৮টি। সরকারী তথ্য ছাড়াও পাহাড়ে চাহিদার বেশী কোরবানী পশু প্রস্তুত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার সকালে শহরের পৌরসভা ট্রাক টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, এখানে পর্যাপ্ত কোরবানী পশু রয়েছে। জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার মানুষও এখানে আসছে কোরবানীর জন্য পশু কিনতে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও কোরবানী পশু বিক্রি করতে বিভিন্ন বড় বড় বোটে করে পাহাড়ী গরুও গয়াল নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা।
লংগদু থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় আমি এবারো রাঙ্গামাটি কোরবানী হাটে প্রায় ১১টি ছোট বড় সাইজের গরু নিয়ে আসছি।এখনো বিক্রি করতে পারিনি, আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যেই বিক্রি করতে পারবো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে কোরবানী পশুর যোগান অনেক বেশী বলে জানান তিনি।
কোরবানী পশুর হাট ইজারাদার মোঃ রুহুল আমিন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, এবার হাটে অন্যান্য বছরের তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ কোরবানী পশু উঠেছে এবং অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এখানে পশু বিকিকিনি হচ্ছে। হাটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বাসসকে জানান, কোরবানী পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে তিন স্তরের পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশ কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি হাটে জাল নোট পরীক্ষার মেশিন বসানো হয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে হাটে থাকা পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য তিনি সকলকে আহবান জানান।