শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

ধেয়ে আসছে বন্যা 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

ত্রাণের জন্য বন্যার্ত মানুষের হাহাকার 
ধেয়ে আসছে বন্যা। হুহু করে বাড়ছে বানের পানি। উজানের ঢলে ফুসে উঠেছে প্রমত্ত তিস্তা। বানের পানিতে ভাসছে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী, সদরসহ ৫টি উপজেলার ২০ হাজার পরিবার। শুক্রবার সকাল থেকে আরও বাড়ছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এদিকে বন্যা করলিত মানুষের মাঝে নেই ত্রান। ত্রানের অভাবে হাহাকার করছেন এই এলাকার বানভাসি ৫০ হাজার মানুষ। খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গড্রিমারী, পারুলিয়া, ডাউয়াবাড়ী, মহিষখোচাসহ বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকার পরিবারগুলো ঘড়-বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
গর্জে উঠেছে তিস্তা, নীলফামারীর ১৫ গ্রাম প্লাবিত: উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা। এতে প্লাবিত হয়েছে নীলফামারীর ১৫টি গ্রাম। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বানের পানি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গর্জে উঠে তিস্তা। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় পানি কিছুটা কমে ৩২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষজনের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। গ্রামগুলোর বাসিন্দারা রাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতীফ খান জানান, তার ইউনিয়নের দু’টি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসফাউদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি গত দু’দিন ধরে হু হু করে বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বিপদসীমা ৪০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে তিস্তার পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্তক রয়েছে বলে তিনি জানান।
ত্রাণের জন্য বন্যার্ত মানুষের হাহাকার: হুহু করে বাড়ছে বানের পানি। উজানের ঢলে ফুসে উঠেছে প্রমত্ত তিস্তা। বানের পানিতে ভাসছে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী, সদরসহ ৫টি উপজেলার ২০ হাজার পরিবার। শুক্রবার সকাল থেকে আরও বাড়ছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
এদিকে বন্যা করলিত মানুষের মাঝে নেই ত্রান। ত্রানের অভাবে হাহাকার করছেন এই এলাকার বানভাসি ৫০ হাজার মানুষ। খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গড্রিমারী, পারুলিয়া, ডাউয়াবাড়ী, মহিষখোচাসহ বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকার পরিবারগুলো ঘড়-বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল জানান, তার ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী। হাতিবান্ধার গড্রিমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ওই ইউনিয়নে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী। তবে ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, বন্যার্ত পরিবারের মাঝে বরাদ্দ না দেয়ায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনা খাবার দ্রুত না দিলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, বন্যার্তদের মাঝে ১০৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা হয়তো রোববার থেকে বিতরণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছে, তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে। বন্যার পানি, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার দিকে যাচ্ছে।
গাইবান্ধায় বেড়েছে সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: গাইবান্ধায় তিস্তা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়াসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। লোকালয় ও নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যা আতঙ্কে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও চক রহিমাপুর পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, গত দুদিন থেকে তিস্তার নদীর পানি ব্যাপকহারে বেড়েছে। মরিচ ও পাটের জমি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চরের বাসিন্দা জামিউল ম-ল বলেন, কাল রাত থেকে অনেক পানি বেড়েছে। গত কয়েকদিনে অনেক আবাদি জমি নদীতে ভেঙে গেছে। তিস্তা নদীর ভাঙন এখনো অব্যাহত আছে।
সদর উপজেলার গোমাট গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, বাড়ির চারদিকে পানি। ঠিকমতো বের হওয়া যাচ্ছে না। সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি যে হারে বাড়ছে তাতে সবজিক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। বন্যা হলে তো বাড়িতেও থাকা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানিতে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে নদীভাঙন নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় নদীভাঙন হচ্ছে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com