সিলেটে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাত কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। জামায়াত নেতাদের দাবি, শনিবার সমাবেশের জন্য রেজিস্ট্রারি মাঠ পরিদর্শনের সময় জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সাত কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার খশির গ্রামের সিদ্দিক আহমদের ছেলে জামায়াত কর্মী আজিজুল ইসলাম (৪৩), নগরের উত্তর বাগবাড়ি এলাকার মৃত এরফান উদ্দিনের ছেলে আবুবকর সিদ্দিক (৫৮) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাগেরকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮), বালাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ছাত্রশিবিরের কর্মী এএসএম রুবেল (২৩), কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮)।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতে ইসলামি সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে পূর্ব ঘোষিত শনিবার রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ৫ জুলাই আবেদন করে জামায়াত। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সমাবেশের বিষয়ে সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ১৫ জুলাই সিলেট মহানগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করতে চাই। এজন্য ৫ জুলাই পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো অনুমতি পাইনি। তবে আমরা আশাবাদী সমাবেশের অনুমতি পাবো।
তিনি আরও বলেন, অতি উৎসাহী কেউ কেউ আমাদের সমাবেশে বাঁধার চেষ্টা করছে। আমাদের ৭ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে আমরা সমাবেশ করবোই। সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, রেজিস্ট্রারি মাঠের আশপাশ এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা কোনো নাশকতার সঙ্গে জড়িত কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।