বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়কের দাবি ছিল, ‘আমরাই ফেভারিট।’ আগের পাঁচ ওয়ানডেতে যাদের বিপক্ষে একটিও জয় নেই, তাদের বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট বলাটা সাহসী কথন। নিগার সুলতানা জ্যোতির নিজের দলের উপর কেন এতোটা বিশ্বাস তার দেখা মিলল মিরপুরের সবুজ গালিচায়। যেদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং হলো দারুণ, বোলিং দুর্দান্ত আর ফিল্ডিং স্রেফ উড়ন্ত। তিন বিভাগের জমাট রসায়নে প্রথমবারের মতো প াশ ওভারের ক্রিকেটে লেখা হলো ভারত বধের মধুর কাব্য। গতকাল রোববার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৩ ওভার ব্যাটিং করতে পারে। ৯ উইকেটে বাংলাদেশ করে ১৫২ রান। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান স্বর্ণ আক্তার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠ্যাৎ পেট ব্যথা বাড়ায় তার সার্ভিস পায়নি বাংলাদেশ। ওই রানই পাহাড়সম করে ফেলে ভারতের জন্য। সবকটি উইকেট হারিয়ে ভারত ১১৩ রানে গুটিয়ে যায়। ৪০ রানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ।
বৃষ্টি এবং মাঠ ভেজা থাকায় সকালে এক ঘণ্টা ৪৭ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। গুমোট আবহাওয়ায় এমন উইকেটে ব্যাটিংটা কেমন করতে হবে তা জানা ছিল বাংলাদেশের।
নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ ছিল প্রবল আত্মবিশ্বাসী। শেষ টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে জয় পাওয়ায় ব্যাটসম্যানরা দলকে দিচ্ছিলেন বাড়তি প্রেরণা। সেই চিত্র আজ ফুটে ওঠে মিরপুরের ২২ গজেও। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ৬৪ বলে ৩৯ রান করেছেন ৩ বাউন্ডারিতে। এছাড়া ফারজানা হক ৪৫ বলে করেন ২৭ রান। শেষ দিকে ফাহিমা খাতুনের ১২ ও সুলতানা খাতুনের ১৬ রানে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। শারমীন সুলতানা রানের খাতা খোলার আগে রান আউট হন। আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের ইনিংস আটকে যায় ১৩ রানে। তৃতীয় উইকেটে ফারজানা ও জ্যোতি হাল ধরে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। ছক্কাবিহীন বাংলাদেশের ইনিংসে বাউন্ডারি এসেছে কেবল ১৫টি। স্ট্রাইক রোটেট ভালো হয়নি। কেননা এক ওভার আগে শেষ হওয়া ইনিংসে ডট বলই ছিল ১৭৯টি।