ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আমেরিকার কাছ থেকে বিএনপি ‘হাঁসের এবং ঘোড়ার ডিম’ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ইইউ কী দিয়ে গেছে? তত্ত্বাবধায়ক দিছে? সরকারের পদত্যাগ, না কি শেখ হাসিনার পদত্যাগ? তারা দেওয়ার কে? বিএনপি আসলে পেয়েছে একটা হাঁসের ডিম, ঘোড়ার ডিম। আমেরিকানরা এসেছে, বিএনপি মনে করেছে তারা বলবে- সংলাপ করতেই হবে। আসলে তারাও দিয়ে গেছে ঘোড়ার ডিম। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর রমনায় আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার আগে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে ‘শয়তানের দল’ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের শয়তানের দল বিএনপি। বাংলাদেশের আরও ৩৬টা শয়তানের দলের মিল হয়েছে। তারা না কি রাষ্ট্র মেরামতে নেমেছে। মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। আপনার তো চুরি করেছেন, খাম্বা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন শতভাগ বিদ্যুৎ।
এসময় অন্যান্য দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির ওপর ভর করে লাভ নেই। তারা ঘোড়ার ডিম ছাড়া কিছুই দিতে পারবে না। বিএনপি ভুয়া। ওদের জোট ভুয়া। তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাদের পদযাত্রা বিফলে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফ জানিয়ে দেন যে, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বে না সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক আমরা চাই না। বিএনপি মার্কা নির্বাচনকালীন সরকার আমরা মানি না। সংবিধানে যা আছে, সে অনুযায়ী সব করবো। এর বাইরে আমরা একচুলও নড়বো না। মারামারি হুমকিতেও কাজ হবে না। আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথানত করবে না।
এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দায়িত্বে থেকে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন। মিথ্যাচার করে কোনো লাভ হবে না। আমেরিকান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের আমরা বলেছি, আমরা শান্তি চাই। নির্বাচনের সময়ও শান্তি চাই।
সরকারের পদত্যাগসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির একদফা আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ফখরুল বলেছেন, তাদের পদযাত্রা না কি জয়যাত্রা, বিজয়যাত্রা। আসলে তাদের পদযাত্রা পরাজয় যাত্রা। তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
ঢাকা জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন বক্তব্য দেন।