আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে কষ্ট পান। ভিন্নমতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার। গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো, কোন নেতা যাচ্ছেন। এখন ছাত্রনেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে, মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়।
আগামী ২৭ জুলাই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনও কর্মসূচি দিয়েছে। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের উসকানি আমরা দেব না। আমাদের পক্ষ থেকে সংঘাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আমরা কেন উসকানি দেব? আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করলে নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা স ালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপ-কমিটির সদস্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক আজমল হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাশেম, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, মেহেদী জামিল, শেখ রাসেল, এস এম জাকির হোসাইন।