পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মরিচ ‘চারাপিতা’। এক কেজি চারাপিতা মরিচের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ লাখ টাকা। এটি একমাত্র দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে চাষ হয়। এর তেমন ঝাল নেই। তবে বেশ অদ্ভুত সুন্দর একটা সুগন্ধ আছে! এটি সাধারণত পেরুভিয়ান রান্নায় ব্যবহার করা হয়। মসলাজাতীয় এ মরিচের ঝালের মাত্রা ৩০,০০০-৫০,০০০ স্কভিল। এর চমৎকার সুগন্ধ যে কোনো খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।
অত্যন্ত সুগন্ধি এই মরিচ মূলত ধনীরাই ব্যবহার করেন। শোনা যায়, আরব দেশের রাজা-বাদশাহরা তাদের খাবারে এই মরিচ ব্যবহার করতেন। মক্কার অনেক দামি হোটেলেও এটি ব্যবহার করা হয়। এটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এটি সাধারণত বেলে মাটিতে হয়। এই মরিচ গাছে বৃষ্টির পানি পড়লে বাঁচে না। তবে রোদ লাগাতে হয়। সচরাচর এ বীজ বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। তাই বাণিজ্যিকভাবে চাষও তেমন হয় না। দেখতে গোলাকার এই দামি মরিচ চাষ হচ্ছে কুমিল্লায়। কৃষক আহমেদ জামিল সেলিম নগরীর ঠাকুরপাড়ায় বাগান বাড়িতে এ মরিচ চাষ করছেন।
১ কেজি মরিচের দাম ২৮ লাখ টাকা! শুনে অবাক হলেও অত্যন্ত সুগন্ধময় এই মরিচ ব্যবহার করেন ধনীরা। আরব দেশে রাজা-বাদশারা তাদের খাবারে এ মরিচ ব্যবহার করেন।
প্রথমবারের মতো এই চারাপিতা মরিচ বাংলাদেশের মাটিতে আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লার কৃষক আহমেদ জামিল। চারাপিতা কোনো সাধারণ মরিচ নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মরিচ হিসাবে পরিচিত। শখের বসে লাগিয়েছেন কুমিল্লার আহমেদ জামিল নামে এক কৃষক। তার তিনটি গাছে কয়েকশ মরিচ ধরেছে। দেখতে গোলাকার এ মরিচ কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হলেও পাকলে হলুদ হয়ে যায়। কৃষক জামিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে চারাপিতা জাতের মরিচের বীজ এনে শখের বসে নিজের বাড়িতে লাগান। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে আবাদ হওয়া এ জাতের মরিচে ঝাল কম। এটি সুগন্ধিজাতীয় মরিচ। বাংলাদেশের আবহাওয়া এ মরিচ চাষে উপযুক্ত কি-না, সেটি গবেষণার প্রয়োজন।
কৃষক আহমেদ জামিল জানান, বাংলাদেশে সম্ভবত আমিই প্রথম এ মরিচের বীজ লাগাই। আমেরিকা থেকে বীজ সংগ্রহ করি। চার মাস আগে বস্তার ভেতরে মাটি ভরে বীজ রোপণ করি। ৫০টি বীজের মধ্যে ৩টি বীজ থেকে চারা গজায়। একেকটি গাছ বুকসমান। তিন বছর পর্যন্ত এ গাছ থেকে মরিচ পাওয়া যাবে।
কৃষক জামিলের দাবি, চারাপিতা মরিচ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মরিচ। এক কেজি মরিচের দাম ২৬ হাজার ডলার। অত্যন্ত সুগন্ধি এই মরিচ ধনীরা ব্যবহার করে। আরব দেশের রাজা-বাদশারা তাদের খাবারে এই মরিচ ব্যবহার করত। মক্কার অনেক দামি হোটেলেও এটি ব্যবহার হয়। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এটি দামি মরিচ। দেখতে গোলাকৃতির। কৃষক আহমেদ জামিল প্রথম দফা বীজ বপন করে সফল হননি। দ্বিতীয়বারে বীজ লাগিয়ে মাত্র তিনটি গাছ টিকেছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এটি চাষে কতটুকু সফল, সেটা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। উনি এ মরিচ নিয়ে কয়েক বছর ধরে লেগে আছেন। এটি সাধারণত বেলে মাটিতে হয়। আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। চারাপিতা মরিচ আমেরিকার। গুগলে দেখে আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি মাত্র।