এক সময় কেবল বর্ষাকালেই মিলতো পেয়ারা। এখন বছরজুড়েই পাওয়া যায় ডাসা ও সুস্বাদু পেয়ারা। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এই ফলে। পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও চমৎকার উৎস পেয়ারা। কী কী মেলে পেয়ারায়? একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় ১০০ ক্যালোরি ও ২০ গ্রামের মতো শর্করা থাকে। ফাইবার থাকে ৯ গ্রাম। চর্বির পরিমাণ খুবই কম এতে। আমিষ থাকে প্রায় ৪-৫ গ্রাম।
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা: পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পেয়ারা। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ রাখে শরীর। পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান দূর করে। আঁশ সমৃদ্ধ পেয়ারা নিয়মিত খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গণ্ডগোল। পেয়ারাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। পেয়ারা চিবিয়ে খেলে দাঁত ভালো থাকে। ভিটামিন এ মেলে পেয়ারা থেকে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। শরীরের সোডিয়াম ও পটাসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট ভালো রাখে পেয়ারা। ত্বক ও চুলের যতেœ অতুলনীয় পেয়ারা। ইগ্লিসারাইড এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতেও ফলটি কার্যকর।
ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ পাওয়া যায় পেয়ারা থেকে। এসব উপাদান মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। তথ্য: হেলথ লাইন, বোল্ডস্কাই