সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কোরবানী ঈদে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই এপ্রিলের ২৬ দিনে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সত্যি না কি গুজব: ফের বিয়ে করছেন শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল গরমে খামারে মরছে মুরগি, কমছে ডিম রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পার্টি কার চাপে নির্বাচনে এসেছে: ওবায়দুল কাদের বিএনপি গরিবের পাশে দাঁড়ায় আর আ’লীগ সরকারি ত্রাণ চুরি করে : ইশরাক কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে- শিক্ষামন্ত্রী

‘পুরো দেশ লকডাউন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশংকা চিকিৎসকদের’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

দেশের চিকিৎসক, চিকিৎসা খাতে পেশাজীবী সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দেশের সামনে কঠিন সময়। পুরো দেশ লকডাউন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় তারা পাঁচ দফা সুপারিশও করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তারা বলেছেন সারা দেশে এখনই লকডাউন জারি করা জরুরি। কারণ কমিউনিটিতে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ শতাংশের উপরে, যা যেসব দেশে মহামারি হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। একদিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা মনে করেন, বাংলাদেশকে এখন ‘উচ্চ সতর্কতা’ গ্রহণ করতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী। সেভাবে প্রস্তুতি না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

বৈঠকে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবীর বলেন, ‘দেশের সামনে কঠিন সময় আসছে। লকডাউন না করা হলে এই ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ বলেছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখনই দেশে শক্ত অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।’ চিকিৎসকেরা পরীক্ষা নিরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, ছুটি ঘোষণার পর লোকজনের বাড়ি যাওয়া, গার্মেন্টস খুলে তাদের ঢাকায় ফেরা আবার বন্ধ, তাদের ফেরত যাওয়ার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বলে তারা মনে করেন। কিন্তু ঠিক কতটা ছড়িয়েছে তা পরীক্ষা না করলে বোঝা যাবে না।’ চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার খোলা রাখা বা বহির্বিভাগ চালু করার জন্য চাপ দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বৈশ্বিক পরিসংখ্যান বলছে, কমপক্ষে ৪৮ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে। রোগীরা যদি চেম্বারে আসেন বা বহির্বিভাগে, তাহলে তাদের সেবাদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তি এবং অন্যান্য রোগের রোগীরা আক্রান্ত হবেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা একের পর এক সংক্রমিত হলে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ ক্ষেত্রে তাদের সুপারিশ হলো জরুরি বিভাগের সেবাকে সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা এবং ফোনে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পরিধি বাড়ানো।

বৈঠকে চিকিৎসকেরা যারা এই জরুরি পরিস্থিতিতে সেবা দিচ্ছেন তাদের প্রণোদনা দেওয়ারও সুপারিশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সালান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। এইচ আর/ খবরপত্র

 




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com