বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন কুরআনের পাখি খ্যাত মুফাসসিরে কুরআন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা ও দাফন হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনে তাঁর কফিনবাহী গাড়ি এসে পৌছায়। পরে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিবুর রহমান। শেষবার দেখার জন্য সবার জন্য কফিন উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছিল। এর আগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী জানাজায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ বক্তব্য রাখেন। এসময় তার বাবা ও তার পরিবারের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। এরপর ২টা ২০ মিনিটে তার মেজ ছেলে শামীম বিন সাঈদী সেখানে উপস্থিত হন।
মাওলানা সাঈদীকে বহনকারী কফিন গাড়িতে উঠিযে দাফনের উদ্দেশ্যে পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ৩ টার দিকে সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে মাওলানা সাঈদীর বড় ছেলে, মা ও ভাইযের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়। এসময় পিরোজপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে হাজার হাজার জনতা ও তাঁর ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা ও লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হয়েছিল জেলা জুড়ে। পুলিশ, র্যাব, বিবিজি, আর্ম পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল। পিরোজপুর জেলায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে জামাতের মনোনয়ন নিয়ে পিরোজপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গ্রেফতার হন। ২ আগষ্ট মানবতা বিরোধী অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন।