শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

ঋণমুক্তির আমল

মো: আবু তালহা তারীফ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩

জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তে আমরা কমবেশি অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ি। তখন বাধ্য হয়েই ব্যবসাবাণিজ্য কিংবা দোকানে কমবেশি ঋণ করে সাময়িকভাবে জীবন পরিচালনা করতে হয়। পরবর্তী সময়ে এই ঋণের চিন্তায় জীবনে অভিশাপ নেমে আসে। শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে ঘুম পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। সন্তানের লেখাপড়া, বাজার ও খাবার, চিকিৎসাসহ জীবনে নেমে আসে কালো অধ্যায়। এ জন্যই রাসূল সা: সর্বদা ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতেন।
বুখারি শরিফের বর্ণনায় এসেছে- হজরত আয়েশা রা: বলেন, রাসূল সা: সর্বদা ঋণমুক্তির জন্য দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাঅছামি ওয়াল মাগরামি। অর্থ হলো, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ এবং ঋণ থেকে মুক্তি চাই।’ হজরত আলী রা: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে রাসূল সা:-এর শেখানো দোয়াটি পাঠ করতে বললেন। দোয়াটি হলো- ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থাৎ- হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। তোমাকে ছাড়া আমাকে অন্য কারো মুখাপেক্ষী করিও না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (তিরমিজি ও আহমাদ) ঋণ মানুষকে চিন্তিত করে। এই ঋণের কারণে দুশ্চিন্তা হয়। এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পতে রাসূল সা: পড়তেন- ‘আল্লাহুম্মা ইনি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজজি ওয়াল-কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া দ্বালায়িদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল। অর্থা- হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে। অপারগতা ও অলসতা থেকে। কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে। ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি)
বুখারি শরিফের বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল সা:-এর কাছে কোনো ঋণী ব্যক্তির জানাজা উপস্থিত করা হলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, ‘সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ রেখে গেছে কি? যদি বলা হতো যে সে তার ঋণ পরিশোধের মতো সম্পদ রেখে গেছে। তখন তার জানাজার সালাত আদায় করতেন। অন্যথায় বলতেন, তোমরাই জানাজা আদায় করে নাও।’ আসুন আমরা যারা ঋণগ্রস্ত রয়েছি হালাল উপায়ে আয় করে ঋণ দেয়ার চেষ্টা করি। প্রতি ফরজ সালাত আদায়ের পর ঋণমুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। একনিষ্ঠতার সাথে ইবাদত-বন্দেগি করে নিজেকে সঁপে দিই। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেছেন, আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবো এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবো। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেবো এবং তোমার অভাব দূর করব না।’ (তিরমিজি)




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com