গ্যাবন, নাইজার, মালিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ। চলমান সহিংসতা ও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে বৈশ্বিক পরিম-লে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বিষয়গুলোর গুরুত্ব কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘জি-২০ ঢাকা টু দিল্লি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে চলমান সহিংসতা ও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এসডিজি লক্ষ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবিক অগ্রাধিকার ইস্যুগুলোকে পেছনে ফেলে বৈশ্বিক পরিম-লে ওই সমস্যাগুলো সামনে চলে আসতে পারে।’
বৈশ্বিক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে সামনের বহুপাক্ষিক ফোরাম বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরবে। কারণ, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে বলে তিনি জানান।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি সেপ্টেম্বরের জি-২০ সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকার ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে আসবে এবং আমাদের সবার জন্য অগ্রাধিকার বিষয়গুলো অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় কৌশলগত অংশীদার ছিল এবং সেটির ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এ কারণে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে অন্যরা ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ মডেল হিসেবে অভিহিত করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে জি-২০ সম্মেলনে ভারত একটি বিরাট পরিবর্তন এনেছে। একই ধরনের মনোভাব সম্প্রতি জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে ছিল, যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল আফ্রিকা।’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এ ধরনের দুটি শীর্ষ সম্মেলন হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে—বিশ্ব আবারও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। -বাংলাট্রিবিউন