শিশু-কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয় কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৩। এ প্রতিযোগিতা দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্ব আঞ্চলিক পর্যায়ে এবং ২য় পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। মে, জুন এবং জুলাই মাসের কিশোরকণ্ঠের উপর অনুষ্ঠিত ১ম পর্বের উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে আঞ্চলিক পর্বের বাছাই শেষে দেশব্যাপী ১৪০টি সেন্টারে ১৪০০ জনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা ১৮ই আগস্ট ২০২৩ সকাল ১০:০০টায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বের প্রতিযোগিতা শেষে গত ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে পত্রিকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের ১০ জন বিজয়ীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন নতুন কিশোরকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক- কবি মোশাররফ হোসেন খান।
এসময় কবি মোশাররফ হোসেন খান বলেন- ‘কিশোরকণ্ঠ পড়বো, জীবনটাকে গড়বো’ এই স্লোাগানকে সামনে রেখে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন কর্তৃক নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে নতুন কিশোরকণ্ঠ। বাংলাদেশের অসংখ্য শিশু-কিশোরের প্রিয় মাসিক পত্রিকা এটি। নতুন কিশোরকণ্ঠ পত্রিকা একজন ছাত্রকে পড়ালেখার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য সর্বদা উৎসাহিত করে যাচ্ছে। একই সাথে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। শিশু-কিশোরদের সুন্দর ও যোগ্য করে তুলতে মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠের এই উদ্যোগ যেন সার্বিকভাবে সফল হয়- মহান আল্লাহর দরবারে সে কামনাই করছি।
নির্বাহী সম্পাদক নূরুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বাধিক প্রকাশিত কিশোর পত্রিকা নতুন কিশোরকণ্ঠ। একটি সুন্দর বসুন্ধরা গড়ে তোলার জন্য কিশোরকণ্ঠ শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ, আদর্শবান ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ নাগরিক গড়ে তোলাই এ পত্রিকার মূল লক্ষ্য। আর তাই কিশোরকণ্ঠ জ্ঞানের মশাল জ্বেলে পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সম্পাদক ওয়াহিদ জামান, মতিউর রহমান মিয়াজী ও শাহাদাৎ সরকারসহ কিশোরকণ্ঠ পরিবারের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম আকবর, আতিকুর রহমান, আতাহারুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ, নাহিদ হাসান, রেদওয়ান রাওয়াহা, মোবারক হোসাইন, খন্দকার নূর হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, নাহিদ জিবরান, হাসান আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারাদেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে মোট ১৩ লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার টাকা), দ্বিতীয় পুরস্কার ২০,০০০/- (বিশ হাজার টাকা), তৃতীয় পুরস্কার ১৫,০০০/- (পনের হাজার টাকা), ৪র্থ থেকে ১০ম পর্যন্ত ৫০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) এবং সনদ, ক্রেস্ট ও মূল্যবান বই প্রদান করা হবে। পুরস্কার প্রদানের তারিখ ও স্থান পরবর্তীতে কিশোরকণ্ঠের ফেইসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট ও পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বিজয়ী যারা:
১ম স্থান: রাকিব আল মুবাশ্বির,৭ম শ্রেণি, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও
২য় স্থান: মো. তারিক হাছান, আলিম ২য় বর্ষ, নোহার নান্দলা আলিম মাদরাসা, কিশোরগঞ্জ
৩য় স্থান: মো. রিয়াদ শেখ, ১০ম শ্রেণি, বেণীপুর বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
৪র্থ স্থান: জান্নাতুন নাঈম নাবা, ৮ম শ্রেণি, রাবেয়া মেমোরিয়াল হাই স্কুল, বগুড়া
৫ম স্থান: তাহমিদ হোসেন মাহীন, ৮ম শ্রেণি, দিনাজপুর জিলা স্কুল, দিনাজপুর
৬ষ্ঠ স্থান: আখি মনি, ৭ম শ্রেণি, গোবর্দ্ধন হায়দারিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট
৭ম স্থান: মো. ইসরাফিল হোসাইন, আলিম ১ম বর্ষ, যুক্তিখোলা ফাযিল মাদরাসা, কুমিল্লা
৮ম স্থান: মো. হাসিম আলী, একাদশ, কুমারখালী সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া
৯ম স্থান: আবদুল হাদী, ১০ম শ্রেণি, কয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
১০ম স্থান: আসাদুল্লাহ কাওসার, একাদশ, হাবিব উল্লা কলেজ, শরীয়তপুর