শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

সবর সফলতার মূলমন্ত্র

ইসমাঈল সিদ্দিকী:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দুনিয়ার জীবনটা রেললাইনের মতো সমান্তরাল নয়, একদম নির্মল আর নির্ঝঞ্ঝাটও নয়। এতে দুঃখ-দুর্দশা আসবেই, ঝড়-ঝাঁপটার সম্মুখীন হতে হবেই। কারণ দুনিয়া পরীক্ষার হল। তাই আমাদের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে জীবনের নানা ক্ষেত্রে, নানাভাবে। সেই পরীক্ষায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্রও ঘোষিত হয়েছে পাক কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনো) ভয়-ভীতি, (কখনো) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনো) জানমাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা, আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও (সূরা বাকারা-১৫৫)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে রয়েছেন’ (সূরা বাকারা-১৫৩)।
ইসলামের শিক্ষা হলো, দুঃখের পরই সুখপাখি ধরা দেবে, দুর্দিন পেরিয়ে সুদিনের হাতছানি আসবে, এ বিষয়ে কুরআন মাজিদে মানুষকে প্রচুর দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বারবার সবরের কথা, ভেঙে না পড়ার কথা বলা হয়েছে। আশার বাণী শোনানো হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘অবশ্যই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি’ (সূরা ইনশিরাহ-৬)।
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে- ‘আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না’ (সূরা ইউসুফ-৮৭)। আমাদের প্রিয় নবীজীও বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, কাফেরদের কটু কথা আর কটুবাক্যে তার মনেও কষ্টের মেঘ জমেছে। তার হৃদয়ও ভারী হয়ে উঠেছে। কিন্তু তিনি তাদের কটু কথায় দমে যাননি। মানবতার মুক্তির মিশন থেকে পিছিয়ে পড়েননি। বরং ধৈর্য ধারণ করেছেন, তাদের শত নির্যাতন আর নিপীড়ন উপেক্ষা করে স্বীয় মিশনে অকুতোভয়ে এগিয়ে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছেন। বস্তুত: একজন আল্লাহভীরু মানুষ যখন বিপদের সম্মুখীন হন তখন তিনি ধৈর্য ধারণ করেন এবং আল্লাহ তায়ালার দরবারে সাহায্যপ্রার্থীর হাত তুলে ধরেন ও অনুতপ্ত হন। অনুশোচনা ও অন্তর শুদ্ধির চেষ্টায় নিয়োজিত হন। আর যারা তাকওয়াহীন জীবন ও মন লালন করেন, জীবনের শেষ গন্তব্য ও পরিণতি সম্পর্কে বেখবর থাকেন তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। অতএব, দুনিয়ার জীবনে কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হলে- সেটা যেমনই হোক, আল্লাহ পাকের ফয়সালা মনে করে তা মেনে নেয়া, মনে কোনোরূপ মন্দ ধারণা পোষণ না করা আর সবরের সঙ্গে বিপদমুক্তির জন্য আল্লাহ পাকের শরণাপন্ন হওয়া- এটিই একজন মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। রাসূল সা: বলেন, ‘সত্যি, বড় পুরস্কার তো বড় বিপদের সঙ্গেই রয়েছে। আর আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন তখন অবশ্যই তাদের পরীক্ষায় ফেলেন। তখন যে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্যই তাঁর সন্তুষ্টি, আর যে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার প্রতি তাঁরও অসন্তুষ্টি’ (জামে তিরমিজি-২৩৯৬)। লেখক : শিক্ষার্থী, শায়েখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com