“তথ্য-প্রযুক্তির কালোছায়া থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তাক্বওয়া অর্জন করা।” চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার আধুনগর গুল-এ-জার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এড. নাওশাদ এসব কথা বলেন। এসএসসি ২০২৩ সালে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোহাম্মদ শামশুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য জান মোহাম্মদ শিকদার, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মোঃ নাওশাদ আলী প্রমূখ। সহকারী শিক্ষক নুরুল আবছার শিশিরের সঞ্চালনায় বক্তাগণ ছাত্রীদের ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি চরিত্র হেফাজত এবং ক্যারিয়ার গঠনের জন্য মোবাইল আসক্তি কমানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী, এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচের ছাত্রী সাবরিনা সিদ্দিকী বলেন- “একটি নির্জন কক্ষ, এন্ড্রয়েড মোবাইল এবং ইন্টারনেট একজন যুবক-যুবতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।” এড. নাওশাদ ইসলামে নারীদের অবদান এবং সম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতি গঠনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মোবাইল আসক্তি এবং অনিষ্ট থেকে নিজেকে হেফাজতের সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে আল্লাহকে ভয় করা এবং লজ্জা পাওয়া।” কোরআনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলে- “আমার বর সবকিছু দেখছেন এ কথা অবশ্যই একজন মুসলিমকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। দুই কাঁধের দুই ফেরেশতা প্রতিটি মুহূর্তে ভালো-মন্দ প্রতিটি কর্ম লিখে রাখছেন। প্রতিটি বিষয়ে বিচারের দিন আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে, এ বিষয়ে ভয় থাকতে হবে। নয়তো কখনো নিজেকে পাপ থেকে হেফাজত এবং চরিত্র সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।” তিনি সূরা মূলকের উদ্বৃতি দিয়ে আরও বলেন- “আল্লাহকে না দেখে ভয় করার উত্তম প্রতিদান রয়েছে। এর একমাত্র বিনিময় হচ্ছে -জান্নাত।” প্রধান অতিথি ডাঃ মাহমুদুর রহমান অতিথিদের বক্তব্যের সাথে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন এবং সফলতার জন্য অধ্যাবসায়ের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।