বরিশালে এখন বিদেশি ফল মাল্টা চাষ হচ্ছে। শুধু তাই নয় একদিকে যেমন বাড়ছে এর আবাদি জমির পরিমান তেমনিবাড়ছে এর মালটার উৎপাদন। বেশি লাভবান হওয়ায় মালটা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। তবে দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে তাদের। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামে প্রথম মাল্টার বাগান করেন গুরুদাস ব্যানার্জী শ্যামল। তার বাগানে রয়েছে অর্ধশত মাল্টা গাছ। চারা রোপনের দুবছর পর থেকেই পেতে শুরু করেন ফল। ৩ লাখ টাকা খরচ করে প্রায় ৮ লাখ টাকার ব্যবসা করেন তিনি এই বাগান থেকে। মাল্টা বাগানের স্বত্ত্বাধিকারী গুরুদাস ব্যানার্জী শ্যামল জানান, চারা রোপনের প্রথম দুই বছর পর প্রথমবার বাগান থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। এরপরের বছর বিক্রি করি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং তার পরের বছর ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। এভাবে প্রতি বছর এ বাগান থেকে মাল্টা বিক্রি করি। মাল্টা গাছ সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছর ভালো ফলন দেয়। বরিশালে এ বছর প্রায় ২০০ একর জমিতে মাল্টা আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হয়েছে ৪০০ মেট্রিক টন মাল্টা। যা দুই বছর আগের চেয়ে ৭৫ মেট্রিক টন বেশি।