বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

জনগণের পক্ষের নেতা ফকির নাসির উদ্দিন

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পর পরই সমগ্র বাংলাদেশের অর্থ নৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল না। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিল নাজুক। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তীতে দেশের করুন অবস্থা থেকে আজকের বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় কিছু সিংহ মানবের আবির্ভাব হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে দেশপ্রেমিক মানুষের ঐক্লান্তিক কষ্ট ও প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন, আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন হয়েছে।সঠিক দায়িত্ব বোধ থেকে নেছারাবাদ থানার একটি অজপাড়া ইউনিয়নের নাম গুয়ারেখা। ২০টি গ্রামের সমন্নয়ে ৬৬৪১ একর জমি ও প্রায় ১৪ হাজার জনগোষ্টি নিয়ে এই ইউনিয়ন অবস্থিত। ভৌগোলিক দিক দিয়ে নেছারাবাদ থানা একটি নদীর মাধ্যমে বিভক্ত, নদীর এক পাড়ে ৪ টি ইউনিয়ন এবং অপর পারে নদীতে বেষ্টিত দ্বীপের ন্যায় আরো ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নেছারাবাদ উপজেলা। যার ভিতরে সবচেয়ে অবহেলিত এবং দ্বীপের ন্যায়ে একটি অনুন্নত এলাকা ছিল গুয়ারেখা ইউনিয়ন। ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। ছোট লঞ্চ, টলার এবং নৌকাতে করেই সকলের চলাফেরা করতে হত। আসেপাশের ৮টি ইউনিয়নে কোন কলেজ ছিলনা, একটি হাইস্কুলই ছিল এলাকার জনগনের শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম। কোন হাটবাজারের দোকান ছাড়া ব্যবসা করার মত কিছুই ছিল না, মাটির রাস্তা ছিল গ্রামের ভিতরে জরাজির্ন অবস্থায়। সেই ১৯৯১ সালেও মানুষ জমি চাষাবাদ কারা ছারা অন্য কোন আয়ের পথের কথা চিন্তাও করতে পারতনা।সঠিক শিক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিলনা গুয়ারেখা সহ অধিকাংশ ইউনিয়নে। যুব সমাজ কোনদিন চাকুরীর মাধ্যমে ভাগ্যপরিবর্তনের কথা চিন্তাও করতে পারতো না। ১৯৯১ সালের আগেও ইউনিয়নের প্রাইমারি শিক্ষার হার ছিল মাত্র ২০% এর মত। অতি কষ্টে এলাকা থেকে বেরহয়ে শিক্ষা অর্জন করে ভাল চাকুরী বা উন্নত জীবন জীবিকার খোজ পেয়ে ছিল হাতে গোনা ১০/১২ জন। অবহেলিত ইউনিয়নের কথা হয়তবা বর্তমান যুগে কেউ কল্পনাতেই আনতে পারবে না। কিন্তু সমগ্র এলকাকে একটি আদর্শ ইউনিয়নে রুপান্তর করেছে কালজ্বয়ী কৃতী সন্তান এবং অত্র এলাকার তরুন সমাজের একজন ফকির নাসির উদ্দিন। একজন ফকির নাসির উদ্দিন মনে পৃরাণে উপলব্ধি করলেন অনেক কিছু। আর সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে পথচলা। যখন হাইস্কুলে পড়ার জন্য কয়েক মাইল হেটে যেতেন তখনই বুঝতে পেরেছিলেন অনেক কিছু নিজে উন্নত হলেই চলবে না গোটা এলাকাকেই উন্নত করতে হবে। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ১৯৭৬ সালে যখন জেলা শহরের কলেজে ইন্টারমিডিয়েট এর ছাত্র তখনই তিনি এলাকার সুধী সমাজের অনুপ্রেরনায় তৎকালিন যুব সমাজ সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা শুরু করেন। ঐক্যবদ্ধ যুব সমাজকে সাথে নিয়ে তিনি উন্নয়ন করার অভিপ্রায়ে আদুশাহ্ ইসলামী সংস্থা নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে গুয়ারেখা ইউনিয়নে। যুব সমাজকে একত্রিত করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন তৎকালীন সময়ে। পাশাপাশি ১৯৭৭ সালে জাগোদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং তার দৃরদর্শী নেতৃত্ব ও জন সমৃক্ততায় তৎকালিন জাগোদলের স্বরূপকাঠী থানা কমিটির গুরুত্বপূর্ন পদ ও জেলা কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হয়। জাগোদল থেকে জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠার পরে তিনি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জেলা ও থানা কমিটির গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন। এলাকায় পরিছন্ন নেতৃত্বের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজে অংশ নিয়ে গোটা উপজেলায় মানুষের প্রিয় ব্যক্তিতে পরিনত হন। ১৯৯১ সালে বাংলাদশে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহ-পরচিালক পদে কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকার রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। ফকির নাসির উদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় ১৯৯২ সালে নিজ এলাকা গুয়ারেখা ইউণিয়নের পাটিকেলবাড়ী গ্রামে এগারগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা বিস্তার ও সহজ সাধ্য করার কাজ শুরু করেন। এগারগ্রাম হাই স্কুলের সাথেই ভোকেশনাল স্কুল চালু করেন। ১৯৯৪ সালে রাজবাড়ী গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজ। পাটিকেলবাড়ী গ্রামে ঐতিহ্যবাহী সূফী পরিবারে তার জন্ম। ৩০০ বছর পুর্বের সূফী দরবেশ ফকির আদুশাহ (রহ) এর তিনি বংশধর। আদুশাহ (রহঃ) এর দরবারের সংস্কার কাজ তিনি শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। প্রায় ২ একর জমি নিয়ে পাটিকেলবাড়ী দরগাহ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি মাজার সংস্কার করেন এবং মসজিদ নির্মান করেন। ১৯৯৪ সালে পাটিকেলবাড়ী দরগাহ্ শরীফ এতমিখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে পাটিকেলবাড়ী দরগাহ শরীফ দাখলি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করনে। এছাড়াও তিনি স্বরূপকাঠী উপজলোর বহু রাস্তা, পুল-ব্রীজ ব্যবস্থা করনে। ২০০৪ সালে তিনি এলাকার নিরাপত্তার জন্য পাটিকেলবাড়ী দরগাহ্ শরীফ পুলিশ ফাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বরূপকাঠী উপজলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, আবাসন প্রকল্প সহ বিভিন্ন উন্নয়নরে জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে কাজ করে গিয়েছেন। ২০১৭ সালে রেড ক্রিসেন্ট থেকে পরিচালক পদে অবসর গ্রহন করেন। অবসর জীবনে তিনি এলাকার উন্নয়নে আরো মনোযোগী এবং এলাকার সাধারন মানুষরে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। মূলত স্বরূপকাঠীর উন্নয়নের রুপরখো এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন কাজরে সুচণা ফকির নাসির উদ্দিনের হাত দিয়েই শুরু হয়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ছিলন এবং সে সময়ে তিনি গোটা স্বরূপকাঠী উপজেলার উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করে গিয়েছিলেন।অথচ যা আজও লোকমুখে তার উন্নয়নের গল্প শোনা যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদানের কথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। লোকমুখে শোনা যায় বাড়ী থেকে পান্তাভাত খেয়ে সহজে সবাই প্রাইমারী থেকে ডিগ্রি পাশ করে। বর্তমানে স্বরূপকাঠি উপজেলার শিক্ষার হার ৭৫% বেশী এবং গুয়ারেখা ইউনিয়নের শিক্ষার হার ৯৫% এর বেশী। ফকির নাসির উদ্দিনের নিজ এলাকা সহ আসেপাশের ইউনিয়ন সমূহের যুব সমাজ শিক্ষিত হয়ে দেশে-বিদেশে ভাল চাকুরী বা ব্যবসা করছে। উন্নত রাস্তাঘাটের কারনে এলাকায় এখন অনেক কর্মসংস্খানের ব্যবস্থা হয়েছে। বেকারত্বের হার এখন খুবই কম। এলাকার অর্থনীতির এক বিশাল পরিবর্তন এসেছে। উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের একটি বড় অংশই ফকির নাসির উদ্দিনের অবদান রয়েছে যা সকলের মুখে মুখে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার সাধারন জনগনরে সাথে আলাপ আলোচনায় একটি নাম উঠে এসেছে। আর সেই মহান কারিগর ফকির নাসির উদ্দিনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উঠে আসে। প্রবীন-পরিক্ষীত-পরচ্ছিন্ন উন্নয়নমূখী রাজনীতিবীদ ফকির নাসির উদ্দিন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসেন স্বরূপকাঠি-ভান্ডারিয়া ও কাউখালির সাধারণ ভোটাররা স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নের জন্য ফকির নাসির উদ্দিনকে পাওয়ার বাসনা। জনগনের ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য নির্বাচনের মাঠে একজন ফকির নাসির উদ্দিনকে চায়।এ ব্যাপারে কথা হয় পিরোজপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফকির নাসির উদ্দিনের সাথে। তিনি অকপটে বলেন আমি বরাবরই মানবতার সেবায় নিয়োজিত। উন্নয়ন করার আমার মিশন ও ভিশন। আমার এলাকার মত ভান্ডারিয়া ও কাউখালি উপজেলার উন্নয়ন করবো ইনশাআল্লাহ। আর সেই মিশন নিয়ে কাজ করতে চায় র্সবস্তররে মানুষের কল্যাণে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com