বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে খুলনা রোডমার্চ কর্মসূচির মূল অংশ এখনো পৌঁছায়নি খুলনায়। কিন্তু তার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে নগরীর শিববাড়ী মোড়সহ আশপাশের সড়ক ও এলাকা। শুধু জেলার নেতাকর্মী নয়, আসছেন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও। কোনো ধরনের বাধা না থাকায় যে যেভাবে পারছেন সমাবেশস্থলে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করতে স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা করছেন। বক্তৃতার পাশাপাশি জাসাসের শিল্পীরা সমাবেশমঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে চলেছেন। রোডমার্চের বহর পৌঁছানোর আগেই লোকারণ্য খুলনার সমাবেশস্থল বিএনপির খুলনা মহানগরীর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘সকালে ঝিনাইদহ থেকে রোডমার্চ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। এরপর পথে পথে পথসভা করতে করতে খুলনার দিকে এগিয়ে আসছে রোডমার্চের বহর। সবশেষ যশোরের নওয়াপাড়ায় পথসভা শেষ করে সরাসরি খুলনায় আসবে বহরটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বহর ছাড়াও খুলনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছেন। আমাদের দাবি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’ দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির রোডমার্চ ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়। মাগুরা-যশোর-নওয়াপাড়া-ফুলতলা হয়ে ১৬০ কিলোমিটার ঘুরে সমাবেশস্থলে পৌঁছাবে রোডমার্চটি। খুলনার ফুলতলা উপজেলায় রোডমার্চকে স্বাগত জানাবেন খুলনার নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে গাড়িবহর প্রধান সড়ক দিয়ে শিববাড়ীর মোড়ে পৌঁছাবে। রোডমার্চের বহর পৌঁছানোর আগেই লোকারণ্য খুলনার সমাবেশস্থল সমাবেশে প্রধান অতিথি রয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কু-ু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। সমাবেশে সভাপতিত্বে করছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা। পরিচালনা করছেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি।