কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের ইস্যুতে পাকিস্তানের একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে। মঙ্গলবার ওই আদালত তার রিমান্ডের মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে। পিটিআই প্রধানের আইনজীবী এ তথ্য দিয়েছেন। কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের মামলার শুনানি হয় দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৯০ মি.মি. উত্তর-পূর্বের অ্যাটক জেলায়। নিরাপত্তার কারণে ইমরান খানের মামলার শুনানি হয় একটি কারাগারে। ওই অ্যাটক কারাগারেই পিটিআই প্রধান বন্দী রয়েছেন। এ মামলাটি যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে ইমরান খান বলেছেন, এ কূটনৈতিক বার্তাটি তার সরকারকে পতনের জন্য একটি মার্কিন ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
মামলার শুনানি করতে ইসলামাবাদ থেকে আসা বিচারক আবুল হাসনাত সরকারি আইনজীবীর অনুরোধে ইমরান খানের রিমান্ড ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। অ্যাটক কারাগারের বাইরে পিটিআই প্রধানের আইনজীবী লতিফ খোসা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমরান খানের রিমান্ড ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটা একটি সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, সরকারি আইনজীবী এ মামলার বিষয়ে তার প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরও বিচারক তাকে সম্মানজনকভাবে মুক্তি না দিয়ে তার রিমান্ড বাড়িয়েছেন। এর আগে সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক আইনজীবীদের অনুরোধে ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগার থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এদিকে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে হাতকড়া পরিয়ে ইসলামাবাদের একটি আদালতে আনা হয়েছে এবং তার বিচারিক রিমান্ডও ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কুরেশিকেও কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি