নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ভিসানীতির বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। কোনো বক্তব্যও নেই, কারণ এটা সরকারের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করবো। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস আয়োজিত উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিছুর রহমান। উপজেলা হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘আগামী নভেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবো। আমাদের অন্যতম দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আমরা এরই মধ্যে করে ফেলেছি। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যথাসময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো। জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।’ বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেখেছি প্রথমদিন থেকে এ পর্যন্ত, সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিক মাঠেই সমাধান হবে, এতে আমাদের কিছুই বলার নেই। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা, জাতির প্রত্যাশা।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময়ই স্বাগত জানায়, যখন ইচ্ছা ওনারা যদি মনে করেন আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আমরা তখনই কথা বলতে রাজি। আমাদের পক্ষ থেকে এ মুহূর্তে আমাদের তরফ থেকে ডেকে সংলাপ করার মতো সময় নেই। আমাদের একদিন (সময়) কমছে কাজ বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন আছে, রাত-দিন-সকাল; যখন তারা মনে করেন তখনই আমাদের কাছে আসতে পারেন। আলোচনার জন্য আসতে পারেন।’ আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। আমরা সংবিধানের মধ্যে আছি, সংবিধানের মধ্যেই নির্বাচন করবো। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নভেম্বরের
প্রথম সপ্তাহে তফসিল দেবো। এবার একটু দীর্ঘ সময় নিয়েই তফসিল দিতে চাই। এতে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে আমাদের পর্যন্ত অনেক কাজ তাড়াহুড়ো করে করতে হয়। গত নির্বাচনের রাতে ব্যালট পাঠানোর কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যে কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট সকালে পাঠানো হবে। দুর্গম এলাকা, চরাঞ্চল, দ্বীপাঞ্চলে নিবাচনের সরঞ্জাম আগের রাতে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যালট পাঠানো হবে।’