ফরিদপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
নৌকায় ভোট দিয়ে আবার সেবা করার সুযোগ দেবেন, ফরিদপুরবাসীর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করে ভাঙ্গার ডা. কাজী ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লুটেরা বিএনপি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির নেতা। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ধ্বংসের হাত থেকে নৌকাই আপনাদের রক্ষা করবে। এসময় নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মার্কা নৌকা। উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। এ নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে এত উন্নয়ন সমৃদ্ধি। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন।
শেখ হাসিনা বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ভূমি এবং গৃহ দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিয়েছি। তৃতীয় লিঙ্গদের ঘরবাড়ি দিয়েছি। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। ফের আবাদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সব জায়গা আবাদের আওতায় আনতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করবো, নিজেদের চাহিদা পূরণ করবো। প্রয়োজনে অন্যদের দেবো। পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম যাতে মানুষ ঠিকমতো জানে, সেজন্য সারাদেশে মডেল মসজিদ করে দিয়েছি। আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে। এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংরাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। পদ্মা সেতু করে দিয়ে সেটা আবারও প্রমাণ করলাম। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই পারেনি। তিনি বলেন, ব্যাংকের এমডি থাকতে দেইনি বলে সেই ক্ষোভে হিলারি ক্লিনটনকে বলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, বলেছি নিজেদের অর্থে করবো, করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটরের আমলে কেউ ভোট দিতে পারতো না। কথাই তো আছে, ১০টা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা ভোট ঠান্ডা। কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এখনো অনেক খাদ্য মজুত আছে। ১৮ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আবার ধান উঠছে মাঠ থেকে। এ ধান কাটতে আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগ নেম গিয়েছিল। এটাইতো রাজনীতি। শেখ হাসিনা বলেন, ফরিদপুর পুরোনো শহর, কিন্তু সব সময় অবহেলিত ছিল। আমরা এসে উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ সম্প্রসারিত ও সেবার আধুনিকায়ন আমরাই করেছি। আমি জানি, ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ইনশাআল্লাহ, আবার সরকারে এলে সেটা করে দেবো। তিনি বলেন, আমার বাবা-ভাই-বোন কেউ নেই। আছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্যই আমার কাজ। জিয়া-এরশাদ-খালেদা লুটপাট আর দুর্নীতিতে মত্ত ছিলেন। কেউ ভোট দিতে পারেনি। লুট করেছে তারা। আমরা সরকারে এসে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও এতে অংশ নেন।