প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন’ শিরোনামের বহুল প্রতীক্ষিত বায়োপিক দেখে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে। শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-এ চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো দেখার আগে এ মন্তব্য করেন। ছবিটি আজ শুক্রবার সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে একযোগে মুক্তি পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সিনেমাটির সফল মুক্তির ঘোষণা করছি।’
প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক ঘটনাবলী চিত্রিত করে ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ছবিটি আজ সারাদেশের ২শ’টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ ও প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ছবিটি বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রযোজক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএফডিসি) লিমিটেড নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছে। ছবিটির ২৭ অক্টোবর ভারত জুড়ে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ছবিটি এই বছরের ৩১ জুলাই উভয় দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে একটি সেন্সরবিহীন সার্টিফিকেট পেয়েছে।
ছবিটিতে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টাইটেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অন্যদিকে নুসরাত ইমরোজ তিশা জাতির পিতার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বায়োপিকটিতে জনপ্রিয় অভিনেতা চ ল চৌধুরী, প্রার্থনা দীঘি, তৌকির আহমেদ এবং অন্যান্যের বিভিন্ন চরিত্রে দেখানো হয়েছে। পুরো ট্রেলারে দেশের স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক যাত্রায় কিছু শক্তিশালী এবং মহিমান্বিত মুহূর্ত দেখানো হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত প্রযোজনা করেছেন খ্যাতনামা ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র, এবং বাংলা সংলাপ লিখেছেন বাংলাদেশের সাধনা আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শিহাব শাহীন এবং অনম বিশ্বাস।
ছবিটির শুটিং ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারতের মুম্বাইতে শুরু হয়ে একই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর নাম মুছে ফেলার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসকে (মুক্তিযুদ্ধের) বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ইতিহাসকে কখনো মুছে ফেলা যায় না।’