বাজারে আধা লিটার পানির বোতলগুলোর দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে পানি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছে, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, আমদানি খরচ ও শুল্ক-কর বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, সাপ্লিমেন্টারি ট্যাক্স বাড়ানোসহ প্রক্রিয়াকরণের খরচ বেড়েছে। তবে এসব খরচ প্রকৃতপক্ষে কতটা বেড়েছে এবং সেই তুলনায় পানির দাম বৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক পর্যায়ে হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
সম্প্রতি বোতলজাত খাবার পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সভাকক্ষে কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এ সভা হয়েছে। এসময় পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ্যালপাইন ফ্রেশ ওয়াটার সিস্টেম, সিটি গ্রুপ, মেঘনা বেভারেজেস লিমিটেড, আব্দুল মোনেম লিমিটেড, মৈত্রী শিল্প, বিসিএল ফুড এন্ড বেভারেজেস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, গত ফেব্রয়ারি থেকে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৫০০ মিলিলিটার বোতলের দাম ২০ টাকা করেছে, যা আগে ১৫ টাকা ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসময় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি দাবি বরেন, কোম্পানিগুলো একজোট হয়ে পানির বোতলের দাম একই হারে বাড়িয়েছে, যা প্রতিযোগিতা আইনের লঙ্ঘন। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় বাণিজ্য সংগঠনগুলো কতটুকু নৈতিক অবস্থানে রয়েছে সে বিষয়ের প্রশ্ন রাখে ক্যাব। ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, বোতলজাত পানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মার্কেট অ্যানালাইসিস প্রয়োজন। এ জন্য প্রতিটি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির আগে ও পরের বোতলজাত পানির খরচ আমাদের জানাতে হবে। সেই ভিত্তিতে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোম্পানিগুলো বোতলজাত পানির মূল্য বাড়ানোর আগের ও পরের খরচ অবিলম্বে প্রতিযোগিতা কমিশনে প্রেরণ করবে। ট্যারিফ কমিশন এটি বিশ্লেষণ করে বোতলজাত পানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনে সুপারিশসহ মতামত দেবে। সেই অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রতিযোগিতা কমিশন।