রাজিবপুরের বালিয়ামারী বর্ডারহাটে নতুনভাবে বিক্রেতা নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১৩ জনকে গত ৮ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেন ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন শেখ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশ প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন, সচিব বানিজ্য মন্ত্রনালয়, সিনিয়র সচিব বানিজ্যি মন্ত্রনালয়, অতিরিক্ত সচিব এফটি এ উইং বানিজ্য মন্ত্রনালয়, যুগ্নসচিব এফটি এ-১ বানিজ্য মন্ত্রনালয়, বিভাগীয় কমিশনার রংপুর ,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কুড়িগ্রাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কুড়িগ্রাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবপুর, অফিসার ইনচার্জ রাজিবপুর থানা, সুপারিনটেনডেন্ট কাষ্টমস কুড়িগ্রাম, বিওপি কমান্ডার ৩৫ বিজিবি জামালপুর, চেয়ারম্যান রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ। জানা গেছে, সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উন্নয়ন বঞ্চিত পিছে পড়া জনসাধারণের কেনাকাটা করার জন্য এই বর্ডার হাট। দুই দেশের সীমানার জিরো লাইন থেকে ৭৫ মিটার জায়গায় জুরে ৫০ টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে ২৫ জন করে উভয় দেশের ৫০ জন বিক্রেতার জন্য। উপর দিকে ক্রেতার নিয়োগ প্রয়োজন তা না করে বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আবার বিক্রেতা বাড়ালে এড়িয়া বাড়াতে হবে তা না করে গোপনে টাকার বিনিময় বাংলাদেশে বিক্রেতা ২৫ জনের স্থানে অবৈধ ভাবে ৫০ জনকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ভারতের ক্রেতা ৩৯১ জন এবং বাংলাদেশের ক্রেতা ৫৮৭ জন রয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন শেখের স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) এলাকায় জানাজানি হলে তোল পার সৃষ্টি হয়। বর্ডার হাট পরিচালনা কমিটির নামে বিভিন্ন অভিযোগ সংবলিত নোটিশ নিয়ে এলাকায় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বর্ডার হাটের আকার-আয়তন নির্ধারিত এবং ক্রেতা-বিক্রেতাও নির্ধারিত। হাটের আকার-আয়তন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যেমন দোকান ঘর, স্যানিটেশন, হাটে অনুমোদনহীন প্রবেশ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু বিক্রেতা বৃদ্ধি করা হলে হাটে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে ও নিরাপত্তা রক্ষা করা কঠিন হবে। ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই তারিখে উক্ত বালিয়ামারী কালাইয়েরচর বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, কুড়িগ্রাম খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন যে, এতে ২৫ জন বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়া হবে এবং তিনি গণবিজ্ঞপ্তিতে হাট পরিচালনা কমিটির কত তারিখের সভায় এবং কি প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল তাহা কিছুই উল্লেখ ছিল না। এবং অজানা কারনে বিক্রেতা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় লটারীর অপশন তুলে দিলেন বা রাখলেন না এবং এ পর্যায়ে আবেদন করেন ৬০৭ জন বিক্রেতা। এ কারণে বিগত ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখের গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রেতা বৃদ্ধির নিয়োগ কার্যক্রম আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে এ লিগ্যাল নোটিশে। বলা বাহুল্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবপুর গত ৪ মার্চ ২০২০ সালে এমন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক। উক্ত হাটে ২৫ জন বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে কি প্রয়োজনে নিয়োগ দেয়া হবে তাহা উল্লেখ না করেই লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা নির্বাচন করা হবে এবং এ পর্যায়ে মোট ১৫৭৫ জন বিক্রেতা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। উক্ত নিয়োগটি দেয়ার জন্য ৬ জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ দেয়ার ঘটনায়, সেদিনেও এমন নিয়োগটি বন্ধ হয়ে যায়। তাতে এলাকার হতদরিদ্র লোকজন বিক্রেতা নিয়োগে আবেদনের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ হয়রানির শিকার হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ নতুন বিক্রেতা বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।