প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে ৫টি সমাপ্ত ও ৩টি পকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্ধোধনী পূর্বে ভার্চুয়ালে বলেন,ঘাতকের দল বঙ্গবন্দুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংশ করে দিয়েছ।ঘাতকরা অস্ত্রের জড়ে ২৯ বছর শাষনের মধ্যে দিয়ে একের পর এক দেশটাকে ধ্বংশ করেছে। তিনি বলেন আজ দেশের মানুষের জীবন মান বদলে গেছে। আমাদের নদী মাত্রিক দেশ তাই নদীকে রক্ষা করতে হবে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পের নামে নদী,খাল যেন ভরাট না করি। আমরা নৌ পথকে সচল রাখার জন্য ৪১টি ড্রেজার ক্রয় করে প্রতিবছর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও বছরে ম্যানটালিং ড্রেজিং করার আমার নির্দেশ রয়েছে। এসময় তিনি নদীকে রক্ষা করার জন্য শিল্পকল কারখানার দূষিত পানি নদীতে ফেলে পানি দূষিত না করার জন্য আহবানের পাশাপাশি বলেন কোন ভাবেই আমাদের পানিসম্পদ ধ্বংশ করা যাবে না। বরিশাল বিভাগে ১৪টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নতুন করে আরো ৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। (১৬) অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে বরিশাল প্রান্তে বরিশালের সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এসময় বরিশাল প্রান্ত থেকে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রুমিন ফারহানা, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহাবুব উদ্দীন বীর বিক্রম, জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন,সহ স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, বিভাগীয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প ও পুনঃখননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী/খাল/জলাশয়ের উদ্বোধন এবং নতুন অনুমোদিত ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের অধীনে জেলায় ৮৫৩.৫৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৮১৭.৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন তিনটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।