বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন আজিমপুর কবরস্থানে শায়িত। তত্ত্বাবধায়কের বিষয়ে কথা বলে এখন আর লাভ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভার পাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারাই বলুন তো, আজকে দেশের একটি বিরোধী দল দেশের নামে বিষোদ্গার করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারাই বলুন তো, আজকে দেশের একটি বিরোধী দল দেশের নামে বিষোদ্গার করেন। একটা দল (বিএনপি) দিন-রাত প্রধানমন্ত্রীকে বিষোদগার করে। আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সম্মান করে। এরা কী দেখে না? তার সঙ্গে তো বহু প্রধানমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজেই সেলফি তুলেছেন। জি-২০ তেও তুলে, নিউ ইয়র্কেও তুলে। এটা নিজে থেকেই তুলে। অন্য কারও সঙ্গে তো তুলে না।
তারা আমাদের সমর্থন করুক বা না করুক, সম্মান করে জানিয়ে তিনি বলেন, এটাতে আমরা আনন্দিত- এমন না। শেখ হাসিনাকে তারা গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা তো বুঝতে হবে। বিএনপি কী এসব বুঝে না?
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বের অনেকেই তাদের দল সামলাতে পারছে না। চারদিকে আগুন। এসব ছেড়ে বাংলাদেশে এসে ফখরুল সাহেবকে উৎসাহ দেবে কে? ফখরুল তো প্রতিদিনই ভাষণ দিতে গিয়ে মিথ্যাচার করেন।
পৃথিবীতে সব সরকারেরই পতন হয়, এরশাদ সরকারেরও পতন হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ৬৯ এ আমাদের এখানেও পতন হয়েছে। এরশাদ সরকারেরও পতন হয়েছে। বিরোধী দলেরও তো পতন হয়। তাদের (বিএনপির) কত আন্দোলনই তো ফেল করল। আমাদের দেশের বিরোধী দল এখন ভুল পথে আছে। আমি ফখরুল সাহেবকে বারবার বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহু আগেই আজিমপুর করবস্থানে গেছে। ওইখানে ঘুমিয়ে আছে। তাকে জাগাবে কে? ওই দাবি আর তুইলেন না। মৃত জিনিস কী আর কখনও ওঠে আসে? শেখ হাসিনা কেন পদত্যাগ করবেন? বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান তখন কি পদ্মা সেতু ভাঙবেন? মেট্রোরেল ভাঙবেন, সড়ক-মহাসড়ক ভেঙে দেবেন? পারমাণবিক চুল্লি কি ভেঙে দেবেন? এ জন্যই বলেছি, ইউরেনিয়াম ফখরুল সাহেবের মাথায় ঢেলে দেব।
দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আবারও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, যদি এ দেশকে ভালোবাসেন তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এই দেশে সবুজের মাঝে লাল সূর্য ঠিক রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। সাম্প্রাদায়িকতা আর জঙ্গিবাদ আমাদের লাগবে না। এদের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।