দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা পাইন্দং ফকিরাচাঁন-মাদার্শাবাড়ি সড়কটি। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট আকারের পুকুরে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সড়কের চিহ্নটুকুও নেই। প্রতিনিয়ত কাঁদা পানিতে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যেই চলছে ছোট বড় গাড়ি। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফকিরাচাঁন এলাকায় প্রবেশমুখ হতে ভুঁইয়াবাড়ি পর্যন্ত ১৬০ ফুট সড়ক এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হলেও সড়কে বাকি পুরো অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের মাটি ও ইট সরে গিয়ে কোথাও কোথাও বিরাট বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
মাঝেমাঝে কোথাও কোথাও আবার বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যানবাহনগুলোকে হেলেদুলে যেতে দেখা যায়। এলাকাবাসী বলছেন, এ সড়ক দিয়ে গাড়ি তো দূরে থাক, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও মুশকিল। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীকে। সড়কটি পাড়ি দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। কাঁচা সড়কের কারণে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ এই অঞ্চলের জনসাধারণকে। বালু ও ইটের গাড়ি চলাচল করায় পায়ে হেঁটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ফকিরাচাঁন সড়কটির বেহাল অবস্থা। যেখানে সারাদেশে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটেছে। সেখানে এই সড়কটিতে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সড়কটি উন্নয়ন হয়নি। এবি সুজন নামে এক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল পড়ুয়া ছাত্র বলেন, সড়কটির বেহালদশা। খানাখন্দে ভরপুর। কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে অসুবিধা হয়ে যায়। প্রবাসী ব্যবসায়ী এম এ সুজন সড়কের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই রাস্তায় মানুষের চলাচল অনুপযুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি মেরামত না হওয়ায় কয়েকটি স্থানে চলাচল করা যাচ্ছে না। জানিনা গ্রামের মানুষের দুঃখ কবে শেষ হবে! স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মিয়া কোম্পানী বলেন, ১৬০ ফুট ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাটির বাকি কাজ চেয়ারম্যান করবে বলেছে। কিন্তু এখনো করেনি। পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, সড়কটি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় ও এলজিইডিতে এই সড়ক নিয়ে তদবির চলছে। সড়কটি এলজিইডির আইডিভুক্ত না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, হালদার পাড় পর্যন্ত কিছু এলজিইডির আইডিতে নেই। তাজুর ঘাটা থেকে হালদার পাড় অংশ রয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, ‘রাস্তাটি এলজিইডির আইডিভুক্ত না থাকায় উন্নয়ন করতে পারিনি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছি। রাস্তাটির আইডি ভুক্তি করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি।