বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চাষীদের আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষের নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এবার উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। মাল্টা চাষীদের লাভ দেখে অন্য কৃষকরাও মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রায় ৬ বছর আগে উপজেলার কৃষকদের উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল আবাদে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। এলাকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগি হওয়ায় কৃষকদের মাল্টা বাগান তৈরির প্রতি উৎসাহিত করা হয়। একই সাথে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মাল্টা চারা ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যে চাষীদের মাঝে প্রায় ৩০টি মাল্টা বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়। তাদের সাফল্য দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে চাষীরা আরও বেশ কিছু বাগান তৈরি করেছেন। এছাড়া পতিত জমি ও বাড়ির ছাদে অনেকে মাল্টা চাষ করেছেন। উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের নূর ইসলাম মিঠুর স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিন জানান, কৃষি বিভাগের আহবানে সাড়া দিয়ে তারা ৫ বছর আগে ২৫০টি মাল্টা গাছ রোপন করেন। দু’বছর পর ফল ধরতে শুরু করে। বাগান থেকে বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা ৪ হাজার টাকা মন দরে মাল্টা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এবার তারা ৬/৭ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, এলাকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগি হওয়ায় এখানকার মাল্টা অধিক সুস্বাদু এবং আকারেও বড় হচ্ছে। মাল্টা চাষীদের অধিক লাভ ও সাফল্য দেখে কৃষকরা নতুন নতুন বাগান তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষকদের সার্বিক সহায়তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।