বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

নারীশ্রম নিয়ে নোবেলবিজয়ী ক্লডিয়ার গবেষণা বনাম ইসলামী নীতি

ড. মো: মিজানুর রহমান
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩

শ্রমবাজারে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং তাদের উপার্জনের বৈষম্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে ২০২৩ সালে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী হন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তার গবেষণা শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ এবং সেইসাথে জেন্ডার বৈষম্যের কারণে শ্রমিক মজুরির ব্যবধানের প্রধান উৎস প্রকাশ করে। বিগত ৫৫ বছর ধরে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করলেও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন হলেন তৃতীয় নারী যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের পরিণতিতে কী ঘটছে, সে বিষয়ে বোঝাপড়া উন্নত করেছেন ক্লডিয়া। তিনি আবিষ্কার করেন, বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজারে নারীদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বাড়ছে তবে পুরুষদের তুলনায় কম উপার্জন করে। অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন গত ২০০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ এবং উপার্জনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তিনিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, নারী-পুরুষের মধ্যে ব্যবধান সব সময়ই ছিল; যদিও একেককালে তা ছিল একেক রকম। নারী-পুরুষের ব্যবধান এবং তার রূপের পরিবর্তনের কারণ, ক্লডিয়া গোল্ডিনের গবেষণায় উন্মোচিত হয়েছে; এক ধরনের মডেল দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি তার প্রতিবেদনে নারী-পুরুষের অর্থনৈতিক পার্থক্যের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। তার এই গবেষণা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল ও অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন বা মানবকল্যাণমূলক কর্মকা-ে ভূমিকা রাখবে।
ক্লডিয়া গোল্ডিন বিভিন্ন আর্কাইভগুলো ঘেঁটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত নারীদের ২০০ বছরেরও বেশি ডাটা সংগ্রহ করেছেন, যা তাকে দেখায় যে, কিভাবে এবং কেন সময়ের সাথে উপার্জন এবং কর্মসংস্থানের হারে জেন্ডার বৈষম্য প্রবর্তিত হয়েছে। তার মতে, অনেক উচ্চ আয়ের দেশে গত এক শতকে বেতন-মজুরিভিত্তিক কাজে নারীর অংশগ্রহণ তিন গুণ হয়েছে। আধুনিক সময়ের ইতিহাসে এটি অন্যতম বৃহৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন এনেছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও নারী-পুরুষের মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান রয়ে গেছে। গত শতকের আশির দশকে ক্লডিয়া গোল্ডিন এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা শুরু করেন।
ক্লডিয়া গোল্ডিনের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার মূল বিষয় হচ্ছে, আগে এবং এখনো নারীর সিদ্ধান্ত মূলত তার বিয়ে ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করলেও তার অন্তর্দৃষ্টি কাল-সীমানার গ-ি পেরিয়ে যায়। এই গবেষণার জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ একসময় সরকারি পরিসংখ্যানে শুধু পুরুষদের কাজের তথ্য-উপাত্ত থাকত, নারীদের থাকত না। ফলে আর্কাইভে তাকে রীতিমতো ‘তথ্য গোয়েন্দা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে আর্কাইভের বিপুল তথ্যভা-ার ঘেঁটে তাকে নারীর ভূমিকা বের করতে হয়েছে।
সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ক্লডিয়া গোল্ডিন ২০০ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণায় দেখেছেন, এই সময়ে শ্রমশক্তিতে নারী অংশগ্রহণ শুধু বেড়েছে, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়, বরং এ-বিষয়ক রেখাচিত্র ইংরেজি ইউ আকৃতির। অর্থাৎ এই ইতিহাস সরলরৈখিক নয়। দেখা গেছে, ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কৃষিজীবী থেকে শিল্প সমাজে রূপান্তরের সাথে বিবাহিত মহিলাদের অংশগ্রহণ হ্রাস পায়, কিন্তু তারপর বিংশ শতাব্দীর শুরুতে সেবা খাতের বৃদ্ধির সাথে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। গোল্ডিন এই প্যাটার্নটিকে কাঠামোগত পরিবর্তন এবং গৃহ ও পরিবারের জন্য নারীর দায়িত্ব সম্পর্কিত সামাজিক নিয়মের বিকাশের ফলাফল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, বিংশ শতাব্দীতে, নারীদের শিক্ষার মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশির ভাগ উচ্চ আয়ের দেশে তারা এখন পুরুষদের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। অধিকাংশ উচ্চ আয়ের দেশে নারীর শিক্ষার মান পুরুষের চেয়ে বেশি। গোল্ডিন দেখিয়েছেন যে, গর্ভনিরোধক পিলের অ্যাক্সেস নারীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য নতুন সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটা নারীকে ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ দিয়েছে, স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে এত পরিবর্তন সত্ত্বেও কিছু পুরনো বিষয় এখনো রয়ে গেছে, বলেছেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নারী-পুরুষের আয়ের ব্যবধান তেমন একটা কমছে না। অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন মনে করেন, আয়ের বৈষম্যের আংশিক কারণ হচ্ছে, শিক্ষাবিষয়ক সিদ্ধান্ত সাধারণত কম বয়সে নেয়া হয়। তিনি বলেন, যদি যুবতী মহিলাদের প্রত্যাশাগুলো পূর্ববর্তী প্রজন্মের, যেমন তাদের মায়েরা যাদের শিশুরা বড় না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরে যাননি, অভিজ্ঞতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, ফলে বিকাশ আরো ধীর হয়।
ক্লডিয়া গোল্ডিনের মতে শ্রমবাজারে বিশ্বব্যাপী নারীদের ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করা হয়। আয়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম উপার্জন করেন। তিনি এ বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করে দেখিয়েছেন, কেন ও কিভাবে সময়ের সাথে সাথে আয় ও কর্মসংস্থানে নারী-পুরুষের মধ্যকার পার্থক্যের পরিবর্তন ঘটে। আয়ের ক্ষেত্রে লিঙ্গপার্থক্যের সাথে শিক্ষা ও পেশাগত পছন্দের সম্পর্ক রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, উপার্জনে জেন্ডার বৈষম্যের বেশির ভাগই শিক্ষা এবং পেশাগত পছন্দের পার্থক্য দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। গোল্ডিন দেখিয়েছেন যে, এই উপার্জনের পার্থক্যের বেশির ভাগই এখন একই পেশায় হয় এবং মহিলাদের মধ্যে যা মূলত প্রথম সন্তানের জন্মের সময় স্পষ্ট হয়।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন শ্রমে নারীর ভূমিকা বোঝার মতো সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী গবেষণার জন্য ক্লডিয়া গোল্ডিনকে ধন্যবাদ জানান। তার মতে, এখন আমরা নারী-পুরুষের আর্থিক অবস্থার পার্থক্যের পেছনের কারণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো কোনো বাধা সরানো প্রয়োজন হলে তা আমরা ক্লডিয়া গোল্ডিনের গবেষণা থেকে জানতে পারব।
নারীর অধিকার বিষয়ে ইসলামী নীতি: আল্লাহ্ একজন পুরুষ আদম (আ:) এবং একজন নারী হাওয়া (আ:) এর মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিগত দিক থেকে নারী-পুরুষ যেমন কোনো বিভেদ বা বৈষম্য নেই, তেমনি আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, অধিকার-মর্যাদা, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি দিক থেকেও নারী-পুরুষের মধ্যে থাকা সমীচীন নয়। তবে নারীর শারীরিক সক্ষমতা এবং দায়িত্ব-কর্তব্য পুরুষের চেয়ে ভিন্ন। ইসলাম নারী-পুরুষে এই বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করলেও অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা তাদের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। কর্মক্ষেত্র এমনই একটি পর্যায় যেখানে নারীরা প্রায়ই তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়ে মর্যাদার আসনে আসীন করলেও নারীকে তার অধিকার ভোগে পারিবারিক, সামাজিক এমনকি ধর্মীয় বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ইসলাম একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে নারীর কর্মের অধিকারের নিশ্চয়তা দিলেও এতদ্ সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান না থাকায় নারীরা তাদের অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়।
তবে ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মূল কর্মক্ষেত্র হলো গৃহ। আল্লাহ্ বলেন, ‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (আল-আহজাব, আয়াত ৩৩) নারীর প্রধান দায়িত্ব হলো, তার স্বামী ও সন্তানের দেখাশুনা করা। রাসূল সা: বলেন, জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী হচ্ছে তার স্বামী, পরিবার ও সন্তান সন্ততির দায়িত্বশীল, তাকে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি-৬৭১৯) অন্য দিকে, বিবাহের পর নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব স্বামীর ওপর অর্পিত এবং তা ওয়াজিব। (আত-ত্বালাকায়াত ৭)। তোমাদের ওপর স্ত্রীদের প্রাপ্য হলো, সদাচারের সাথে খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান করা। (মুসলিম-১২১৮)
নারীরা নিজেদের পারিবারিক স্বাভাবিক দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করার পর যদি বাইরে গিয়ে কাজ করতে সমর্থ হয় তাতে ইসলামে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে পূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শালীনতা ও পর্দা করা জরুরি। নারীর কর্মের জন্য তার সম্ভ্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য নেই। আল্লাহ্ বলেন, পুরুষেরা যা কিছু উপার্জন করে তার অংশ এবং মহিলারা যা উপার্জন করবে তার মালিকানা মহিলার।’ হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ্ বলেন, তিন প্রকার লোকের সাথে আমি কিয়ামত দিবসে ঝগড়া করব। এদের মধ্যে একজন হলো সে ব্যক্তি যে শ্রমিক থেকে পরিপূর্ণ কাজ আদায় করে, কিন্তু পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয় না। (বুখারি-২২২৭) কর্মক্ষেত্রে নারীদের শারীরিক নির্যাতন না করার বিষয়েও ইসলাম সতর্ক করেছে। নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হলে ইসলামী আদালত কিসাসের বিধান অনুসারে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদেরকে কলকারখানায় মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করানো যাবে না। কারণ এটা তাদের শারীরিক, মানসিকসহ নানাবিধ ক্ষতির কারণ ঘটায়, এমনকি মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রমে নারীরা কখনো কখনো গর্ভধারণের ক্ষমতাও হারায়।
পরিশেষে বলতে হয়, শ্রমবাজারে নারীশ্রমের বৈষম্য উন্মোচনে নোবেলজয়ী ক্লডিয়া গোল্ডিনের ২০২৩ সালের আবিষ্কার যথার্থ তবে পূর্ণাঙ্গ নয়; কারণ তিনি নারীকে কেবল কর্মজীবী হিসেবে বিবেচনা করেছেন। ইসলাম এই বিষয়ে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগেই পূর্ণাঙ্গ বিধান দিয়েছে কুরআন এবং হাদিসে। নারীশ্রমিকের অধিকার বুঝাতে ক্লডিয়া গোল্ডিন কেবল কাজ পাওয়া এবং বেতন বৈষম্যের কথা বলেছেন। ইসলাম কাজের সুযোগ এবং বেতন বৈষম্যের পাশাপাশি নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব, সম্ভ্রম এবং শারীরিক নিরাপত্তার কথাও বলেছে। অধিকন্তু ইসলাম নারীর গর্ভধারণের নিরাপত্তার জন্য কঠিন কাজ না করানোর তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু ক্লডিয়া গোল্ডিন তার গবেষণায় নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন এনেছে বলেছেন। তিনি জন্মবিরতিকরণ সামগ্রীকে নারীর ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইসলাম এই বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ননীতি পোষণ করে।
কারণ ইসলাম নারীকে মমতাময়ী মা হিসেবে সম্মান এবং মর্যাদার স্বর্ণ শিখরে অধিষ্ঠিত করেছে। প্রজন্মের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নারী-পুরুষের শান্তির জন্য সুখের পরিবার গড়ার জন্য ইসলাম তাগিদ দিয়েছে। পরিবারে জন্ম নেয়া ভালোবাসার সেতুবন্ধ মানবশিশু। সেই শিশু একসময় পূর্ণ মানবে পরিণত হয়। এভাবেই মানব প্রজন্মের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। অথচ তথাকথিত আধুনিক সভ্যতায় নারীর স্বাধীনতার নামে সন্তান নিচ্ছে না। ফলে পরিবার, পারিবারিক বন্ধন এবং প্রজন্মের ধারাবাহিকতা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পশ্চিমের অনেক দেশে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি এখন ঋণাত্মক। এ ছাড়াও ক্লডিয়া গোল্ডিন নারীদের আয়ের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে নারীর স্বাধীনতা এবং তার ভরণ পোষণের কথা গুরুত্ব দিয়েছেন। অথচ ইসলাম নারীর ভরণপোষণের পূর্ণ দায়িত্ব পুরুষকে দিয়েছে, এমনকি নারী কোনো আয় করলে তা নারীর নিজস্ব এবং নারীর ওপর পরিবারে কারো দায়িত্ব চাপানো হয়নি। সুতরাং নারীর অধিকার রক্ষায় ক্লডিয়া গোল্ডিনের আবিষ্কারের আগেই পূর্ণাঙ্গ নীতি প্রণয়ন করেছে ইসলাম। লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট, ইমেইল: Mizan12bd@yahoo.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com