শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি মুলক মামলার বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে- নন্নী ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, প্রাণ কুমার, কমল মিয়া, অজিত কুমার, মনিন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, শফিকুল ইসলাম, শাহ আলম, মাজেদা বেগম, ঊষা রাণী, পরিতোষ বর্মণ তাদের বক্তব্যে বলেন, গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ চন্দ্র বর্মনের সহযোগিতায় বনকুড়া গ্রামের প্রদীপ কুমারের স্ত্রী শ্রী মতি রুপসী রাণীর সাথে স্থানীয় সুদখোর মীর হোসেন অনৈতিক কাজ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন টের পেলে মীর হোসেন পালিয়ে যায়। এনিয়ে রুপসী রাণী ও তার স্বামীকে মারধর, স্বর্নের গহনা ছিনতাই ও ভাংচুরের অভিযোগে রুপসী রাণী অজ্ঞাত নামাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এবিষয়ে হীরন চন্দ্র বর্মণ বলেন, মীর হোসেন ও আমি তাদের বাড়ী দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। পরে নিরীহ পরিবারটির উপর গুজব ছড়িয়ে শারীরিক নির্যাতন করায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মীর হোসেন জানায়, রুপসী রাণীর স্বামী প্রদীপ কুমার বাৎসরিক শ্রমিক হিসেবে আমার বাড়ীতে কাজ করে, আমন্ত্রণ পেয়ে তাদের বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে চলে আসি। কোন অসামাজিক ঘটনা ঘটেনি। পরে আসামিরা মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে ওদেরকে মারপিট করে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী রুপসী রাণী বলেন, পুজার দিন মীর হোসেন, হীরন স্যার আমার বাড়ীতে দাওয়াত খেতে আসে। আমার স্বামীসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলো। কোন অনৈতিক ঘটনা ঘটেনি। আসামীরা সন্ডা-গন্ডা বিধায় পুর্ব আক্রোশে আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করে স্বর্নের গহনা ছিনতাই সহ ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে।