সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

সূরা ইখলাসের ফজিলত

আবরার নাঈম
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

আল-কুরআন। মানবজীবনের সংবিধান। হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। দোজাহানে সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় আল্লাহ তায়ালা সুনিপুণভাবে তাঁর নিজ সত্তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। যেমন- আয়াতুল কুরসি, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। তেমনি সূরা ইখলাসেও তিনি তার একত্ববাদ, মহত্ত্ব ও বড়ত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা নবীজী সা:-কে সম্বোধন করে বলেন- ‘আপনি বলুন- ১. তিনিই আল্লাহ, একক/অদ্বিতীয়; ২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন; ৩. তার কোনো সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন; ৪. এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে সূরা ইখলাস পাঠের বহু গুরুত্ব ও ফজিলত। সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ : হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, নবী সা: তাঁর সাহাবিদের বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা সাধ্যাতীত মনে করো?’ এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা: আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে এটি পারবে? তখন তিনি বললেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি-৫০১৫) এ সম্পর্কে আরো একটি হাদিস। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (তিরমিজি-২৮৯৯)
আল্লাহর ভালোবাসা লাভ : সহিহ বুখারির কিতাবুত তাওহিদে হজরত আয়শা রা: থেকে বর্ণিত আছে- আল্লাহর রাসূল সা: এক সাহাবির নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করলেন। তারা ফিরে এসে নবীজী সা:-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! যাকে আপনি আমাদের নেতা মনোনীত করেছেন তিনি প্রতি সালাতে কিরাতের শেষে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। রাসূল সা: তাদেরকে বললেন, ‘সে কেন এমন করত তা কি তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছ?’ তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, এ সূরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে, এ কারণে এ সূরা পড়তে আমি খুব ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসূল সা: বললেন, ‘তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন।’ (ফাতহুল বারি-১৩/৩৬০)
সূরা ইখলাস পাঠে জান্নাত : আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ’ পাঠ করতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে।’ আমি প্রশ্ন করলাম, কী ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। (তিরমিজি-২৮৯৭) লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম, ময়মনসিংহ সদর




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com