বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলো সেমিফাইনাল লক্ষ্য করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শেষের দিক থেকে ‘প্রথম’ হয়েই হয়তো দেশে ফিরতে হবে। নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর এখন এমন শঙ্কা এসেই যায়।
শেষের দিকে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার শঙ্কা থেকে আরও একটি সংশয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সামনে। সেটা হলো, আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না পার নিয়ে। কারণ, আইসিসি নতুন করে নিয়ম তৈরি করেছে, স্বাগতিক পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দেশ সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার।
সুতরাং, ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই সেরা সাতটি দলের মধ্যে থেকে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজয়ের পর সেরা সাতটি দলের মধ্যে থাকতে পারবে কি না- তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডাচদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ না পেলেও পরের ম্যাচগুলো জিততে চান তিনি। শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়ার জন্য।
২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসর। সেখানে কারা অংশ নেবে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি। যদিও আইসিসির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, স্বাগতিক পাকিস্তান ও চলতি বিশ্বকাপের সেরা ৭ দল পাবে এই টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ।
এ কারণেই মূলত শঙ্কার মুখে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। এখনও পর্যন্ত ৬ ম্যাচে মোটে ১ জয়, ৫ হারে পয়েন্ট টেবিলে নবম স্থানে বাংলাদেশ। পরের ৩ ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস এখনও পর্যন্ত ২টি করে ম্যাচ জয় করে ফেলেছে। এ দুই দল নিজেদের মধ্যে এখনও মুখোমুখি হয়নি। তাতে একটি দলের ম্যাচ জয়ের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। ৪ পয়েন্টে থাকা এই দুই দলের একদল ম্যাচটি জিতে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের নিচে থাকা ইংল্যান্ড তলানি থেকে উঠে আসার জন্য চলমান ভারত ম্যাচ ছাড়াও প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে হলে অন্তত ২টি ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। সঙ্গে বাড়িয়ে নিতে হবে রান-রেটের হিসাবও। সত্যিই কী পারবেন সাকিব আল হাসানরা? ক্রিকইনফোকে আইসিসির ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০২১ সালে যখন ২০২৪-২০৩১ পর্যন্ত চক্রের সূচি নির্ধারণ করা হয়, তখনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য নতুন এই মানদ- ঠিক করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে বসেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। এর আগে ২০১৩ আসরের আয়োজকও ছিল তারা। দুই আসরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে র্যাংকিংয়ের সেরা আটে থাকা দলগুলো পেয়েছিল খেলার সুযোগ।