বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনাটি নাটকের অংশ। যেন বিএনপি নেতাকর্মীরা বিচার বিভাগ থেকে কোনো ন্যায়বিচার না পান। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় সারাদেশের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা’ প্রত্যাহার এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ সময় ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ হামলায় বিএনপির মহাসমাবেশ প- করার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দাযের, বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতার, রিমান্ডে নেওয়া, বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখা- এ সবই জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীল নকশার অংশ। যাতে বিএনপি এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান ‘এক দফার’ আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, তথাকথিত রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি ও দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার বিষয়ে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনাটিও এ নাটকের অংশ। যেন বিএনপি নেতাকর্মীরা বিচার বিভাগ থেকে কোনো ন্যায়বিচার না পান। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তা না হলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের দায়িত্বশীল পাঁচজন সিনিয়র আইনজীবী সদস্যকে কেন আসামি করা হবে? আমরা এ নীলনকশা প্রণয়নকারীদের প্রতি ধিক্কার জানাই।