টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধনবাড়ী সরকারি কলেজ নবাগত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ এর যোগদানের পরপরই অবকাঠামো উন্নয়নের ছোঁয়া মেলেছে। সংস্কার করা হচ্ছে পুরনো ভবনগুলো। কলেজের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ। ১৯৬৭ সালে স্থাপিত ধনবাড়ী সরকারি কলেজের ছোট বড় ৬ টা ভবন রয়েছে যার বিভিন্ন জটিলতার রয়েছে সংস্কার বা মেরামত করা হচ্ছে। জেলার ৩য় বৃহত্তম কলেজ হিসেবে পরিচিত ধনবাড়ী সরকারি কলেজ। বিগত সময়ে অনেক অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করে গেছেন তবে হয়নি তেমন কোন উন্নয়নমুলক কার্যক্রম। এদিকে কলেজে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ যোগদান করার পড় কলেজের নির্মিত সকল ভবন, অফিসকক্ষ, শ্রেণীকক্ষ,টিচার্স রুমের গোল টেবিল, লাইব্রেরি টয়লেট, কলেজ চত্বরের বাউন্ডারি, কলেজ ক্যান্টিন ইত্যাদি পুনরায় সেই জরাজীর্ণ অবকাঠামোর নতুন নতুন রূপ দেন। এছাড়াও কলেজের ভিতর অবাধে বহিরাগত প্রবেশ, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বাদ দিয়ে আড্ডা কোন কিছুই নিয়ম নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য ছিল না। তিনি এসে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছেন। নতুন অধ্যক্ষের যোগদানের পড় বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে মাত্র ২ মাসেই কলেজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য তিনি সকল শিক্ষার্থীকে ক্লাস করা বাধ্যতামুলক করেছেন, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে, কলেজ চলাকালীন সময়ে অযথা আড্ডা এগুলোর ব্যাপারে নিচ্ছেন কড়া ব্যাবস্থা। এদিকে কলেজের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ দ্রুত সময় শেষ করা ও কাজের মানে যেন কোন ত্রুটি না হয় শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ বলেন, জেলার ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম কলেজ হিসেবে পরিচিত ধনবাড়ী সরকারি কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এর অবকাঠামোর জীর্ণ অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়েছি। এখানে ঘুরে দেখে মনে হয়েছে ধনবাড়ী সরকারি কলেজে অনেক কিছুই করার সুযোগ রয়েছে। এখানকার বিল্ডিং অনেক পুরনো। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ভালো সুবিধা নেই। তাই এই কলেজের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা করেছি যে কিভাবে পরিবেশ সুন্দর করা যায়। কলেজ অডিটোরিয়াম বড় করা ও কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে ছাত্রাবাস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আমার।শিক্ষার মান ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে কলেজের জন্য যা করনীয় তাই আমি করবো। আমাদের প্রচুর টাকা বাজেট রয়েছে। খুব অল্প সময়ের ভিতরেই উন্নয়নমুলক সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। সকল বাধা অতিক্রম করে আমাদের শিক্ষক, কর্মচারি সবাইকে নিয়ে কাজ ত্বরান্বিত করার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে আর তা বাস্তবায়ন করতে এখানকার শিক্ষক মহল ও সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। কিন্তু নতুন অধ্যক্ষ আসার অল্প সময়ের মধ্যে কলেজের পারিপার্শ্বক অবস্থার পরিবর্তন সহ বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, কলেজের ভিতর অযথা আড্ডা দেওয়া ও রাজনৈতিক কোলাহল সহ সকল নিয়মনীতি আয়ত্তে এসেছে যেরকম টা এর আগে লক্ষ্য করা যাইনি। এছাড়াও অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ প্রত্যেকদিন সকালে এসেই কলেজ পরিদর্শনে বের হন যেন কোন ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস বাদ দিয়ে অযথা আড্ডা না দেয় কলেজ মাঠে। তিনি আরো বলেন, কলেজের অডিটোরিয়াম বড় ও ছাত্র হোস্টেল তৈরির পরিকল্পনা আছে আমার। ধানবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী সরকারি কলেজের মেনেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সব মিলিয়ে কলেজের এমন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমে কলেজে কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ সকলেই খুশি। কলেজকে আধুনিকায়ন ও উন্নত করার জন্য আমাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে আর তা অল্প সময়েই বাস্তবায়ন হবে। এদিকে কলেজের এমন হটাৎ উন্নয়নমুলক পরিবর্তনে শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছে এবং নতুন অধ্যক্ষকে ও কলেজের মেনেজিং কমিটির সভাপতি কে ধন্যবাদ জানিয়েছে।