শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন

ধানের শীষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জলঢাকার কৃষকেরা

রিয়াদ ইসলাম জলঢাকা :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

উত্তরের জনপদ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে এই সোনালী ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই করছেন তারা। মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা যায়,উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন সহ পৌর এলাকায় পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ এখন মাঠ জুড়ে। এছাড়া বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রায় ২২ হাজার ৯ শত ৩৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন। যা গত বছরের চেয়ে ৮ হাজার মেট্রিকটন বেশী। এবারে আমন ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আমন ধান চাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপন ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে ও পাকা আমন ধান কাটতেও শুরু করেছে কৃষকেরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের উওর গাবরোল হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক মো: রহিদুল ইসলাম(৫৫) জানান, ‘আমি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত গ্রামের কৃষক মো. রাসেল ইকবাল এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এবার সারে ৩ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী মোঃ সফিয়ার রহমান(৫০) বলেন, এ বছর ২০শতক জমিতে গুটি স্বর্ণা রোপন করেছি ধানের ফলন ও ভালো হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে কাটা শুরু করবো। এছাড়া একই ওয়ার্ড এর মোঃ আজিজুল ইসলাম(৩০) বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী ৫বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ রোপন করেছি। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এছাড়াও উপজেলার কয়েকজন ধান ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। আশা করি দু-এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, ‘আমন চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে এই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com